এই আশঙ্কাটা আগের দিনই করা হয়েছিল যে, শেষ মুহূর্তে ভিসা মিললেও শেষ মুহূর্তে হয়তো পুরো দলের জন্য বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করতে পারবে না বসুন্ধরা কিংস। গতকাল সেই পরিস্থিতিই তৈরী হয়েছে। ভারতীয় হাই কমিশন গতকাল সন্ধ্যা ৭.৫০ মিনিটে ভিসা দিয়েছে কিংসকে। এদিন কলকতার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে শেষ ফ্লাইটটি ছেড়ে গেছে তারও আগে, ৭.১৫ তে।
তারপরও কিংস চেষ্টা করেছিল আজকের টিকিটের জন্য। কিন্তু কোন এয়ারলাইন্সই একসঙ্গে এতগুলো টিকিট ব্যবস্থা করতে পারেনি। বাংলাদেশের ক্লাবটি শেষ পর্যন্ত এই পরিস্থিতি জানিয়েই চিঠি দিয়েছে এএফসি বরাবর। সেখানে এটাও জানিয়েছে, অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশণ (এআইএফএফ) এখন যদি টিকিটের ব্যবস্থা করে কিংসের খেলোয়াড়দের ভূবনেশ্বর নিতে পারে তবেই তারা আগামীকাল মোহনবাগানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে অংশ নিতে পারবে।
অন্যথায় নয়। আর সেটি যে তাদেরও দায় নয়, সেটিও চিঠিতে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। এক্ষেত্রে ২০১৫ সালে এএফসির একটি সিদ্ধান্তের উদাহরণ টেনে কিংস লিখেছে, তখন পারসিপুরার বিপক্ষে ম্যাচে পেহাং এফসিকে ইন্দোনেশিয়া ভিসা না দেওয়ায় পারসিপুরাকে ০-৩ গোলের হার মেনে নিতে হয়েছিল। এবার একইরকম পরিস্থিতিতে তেমনই সিদ্ধান্ত তারা আশা করছে।
কিংস ভিসা পাওয়ার জন্য চেষ্টার ত্রুটি করেনি। সেই আগস্টে তারা ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে খেলোয়াড়দের তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছিল। এআইএফফ তাতে সাড়া দিলেও ‘সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা’ আমন্ত্রণপত্র পাঠায়। কিন্তু কিংসের দুটি ম্যাচ যেহেতু ভারতে তাই তারা ডাবল এন্ট্রি ভিসা চায়।
সেই ভিসাই পাওয়া গেল গতকাল সন্ধ্যায়। যেখানে কিংস বিমান টিকিট করে রেখেছিল গতকালের সকালের। সেসব বাতিল করতে হয় তাদের, কিন্তু নতুন টিকিট আর পাওয়া যায়নি।