ইংল্যান্ডের স্বপ্ন ভেঙে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি। ফাইনালে ডোনারুমা বীরত্বে টাইব্রেকারে ইংলিশদের ৩-২ ব্যবধানে হারায় আজ্জুরিরা। ৫৩ বছর পর ইউরোর দ্বিতীয় শিরোপা জিতল মানচিনির দল।
ইউরোর শিরোপা জয়ের আরাধ্য স্বপ্ন ধূলিস্যাত হলো ইংল্যান্ডের। ৫৫ বছর পর কোনো মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে, ব্যর্থতার গল্প লিখলো থ্রি লায়ন্স। নিজেদের মাঠ ওয়েম্বলিতে খেলা। ‘ইটস কামিং হোম’ গানের তালে গ্যালারি ছিল টইটম্বুর। কিন্তু ইংলিশদের হৃদয় ভেঙে ইউরোপ সেরার মুকুট পড়লো ইতালি।
নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ে থাকে ১-১ সমতা। এরপর টাইব্রেকারে স্বপ্নভঙ্গ হয় ইংল্যান্ডের। যেখানে নায়ক বনে যান গোলকিপার দোনারুমা। পাঁচ শটের তিনটি ঠেকিয়ে দিয়ে, শিরোপা উপহার দেন ইতালিকে, হয়েছেন আসর সেরা।
টাইব্রেকার বিবেচনায় রাশফোর্ড ও স্যানচোকে শেষ মুহূর্তে বদলি নামিয়েছিলেন ইংলিশ কোচ। দুজনই হতাশ করেছেন। র্যাশফোর্ড মারেন পোস্টে। আর স্যানচো ও সাকার শট রুখে দিয়ে ইতালির শিরোপা নিশ্চিত করেন দোনারুমা। পেনাল্টিতে আজ্জুরিদের দুটি শট ঠেকালেও নায়ক হতে পারেননি ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড।
এর আগে, ওয়েম্বলিতে শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছিল ইংল্যান্ডের। ম্যাচের সময় দুই মিনিট না হতেই ইংলিশদের উল্লাসে মাতান লুক শ। ইউরোর ইতিহাসে ফাইনালে এটাই সবচেয়ে দ্রুততম গোল।
ইতালি প্রথমার্ধে গোলের চেষ্টা চালালেও, থ্রি-লায়ন্সের জমাট রক্ষণ ভাঙতে ব্যর্থ। দ্বিতীয়ার্ধে গোলশোধে মরিয়া আজ্জুরিরা, সাফল্য পায় ৬৭ মিনিটে। বোনুচ্চির কল্যাণে স্তব্ধ স্বাগতিকরা।
৫৩ বছর পর ইউরো জিতলো ইতালি। আর ইংল্যান্ডের আক্ষেপের গল্প দীর্ঘ হলো। ১৯৬৬’র পর এ নিয়ে ৭টি মেজর টুর্নামেন্টে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিল ইংল্যান্ড।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.