গোবিন্দগঞ্জে সারজিস আলম: “জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ছিল সামগ্রিক জনগণের”
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান কোনো দলীয় আন্দোলন ছিল না, বরং ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে এটি একটি সামগ্রিক জনগণের বিপ্লব ছিল; তিনি রংপুর ইপিজেড বাস্তবায়নের গুরুত্বও তুলে ধরেন।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ছিল কেবল কিছু রাজনৈতিক দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ছাত্র, তরুণ ও সাধারণ মানুষ একত্রিত হয়ে রাজপথে নেমেছিল বলেই শেখ হাসিনাকে দেশের রাজনৈতিক সংকটে পড়ে দেশ ত্যাগ করতে হয়েছিল—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম।
আজ (শুক্রবার) দুপুরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানা মোড়ে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন এক নতুন বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো মার্কা বা দলের দালালি ও দাসত্ব থাকবে না। জনগণের অধিকারই হবে প্রধান শক্তি।”
পথসভায় তিনি গোবিন্দগঞ্জের রংপুর ইপিজেড বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “ইপিজেড বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই দলমত-ভেদাভেদ ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই প্রকল্পের পক্ষে কাজ করতে হবে।”
পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক অ্যাডভোকেট আলী নাসের খান, ডা. মাহমুদা মিতু, আসাদুল্লাহ গালিব, সাদিয়া ফারজানা দিনা, কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান সোহাগ, স্থানীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য মাকসুদুর রহমান মাকসুদ ও অর্কিড প্রমুখ।