৫ আগস্টের পর পলাতক: ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ৩ আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা থেকে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে; তারা সবাই নিজেদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন এবং ৫ আগস্টের পর পলাতক ছিলেন।
ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে রহড়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই নিজেদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন।
আটককৃতদের নাম ও দাবি:
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— ৫২ বছর বয়সী মজনু গাজী (খুলনার দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা), ৪০ বছর বয়সী মোহাম্মদ কামাল শেখ ওরফে ইদ্রিস আলী (খুলনার বেতকাশি এলাকার বাসিন্দা) এবং মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ওরফে মিলন (বিস্তারিত পরিচয় পুলিশ প্রকাশ করেনি)।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কামাল শেখ নিজেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেন। একই দাবি করেছেন বাকি দুজনও। কামাল শেখ পুলিশকে বলেছেন,
আমি সেখানে (বাংলাদেশে) ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সচিব ছিলাম। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। এরপর ৮ আগস্ট সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করি এবং রহড়া থানার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করি।
গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া:
জানা যায়, তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও ৫ দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছিল। প্রথমে রহড়া এলাকা থেকে মজনু গাজী ও কামাল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তীতে কলকাতার নিউটাউনের লস্করপাড়া এলাকা থেকে মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত এই তিন বাংলাদেশি নাগরিককে আজ রবিবার (১৮ মে) পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পর তাদের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই ঘটনাটি ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের বিষয়টি আবারও সামনে আনল।