বিবিধ

তারুণ্যে প্রতিভার নাম শুভ

পেশাজীবন সার্থক হবে যদি এর মাধ্যমে প্রাচুর্যবান হওয়ার পাশাপাশি নিজের ও অন্যের কল্যাণে মেধার সর্বোত্তম ব্যবহার করা যায়। সেরা কর্মক্ষেত্র মানে কি শুধু বিসিএস, ব্যাংক, মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানি বা ঝা-চকচকে করপোরেট প্রতিষ্ঠান।

চাকুরি করে একজন মানুষ কতটা সৎ ভাবে সফল হতে পারে। কেননা বেতনের তো একটা সীমা আছে! পেশাজীবনে পার্থিব সকল প্রাপ্তির পরও একটা শূন্যতা বোধ এসে যায়, যে পৃথিবীর বুকে নিজের কোনো চিহ্ন তো রেখে যেতে পারলাম না। এ পেশাজীবনটা শুরু হতে পারে ছাত্র জীবন থেকে।

নিজের অভিজ্ঞতা বাড়ানোর সাথে সাথে নিজের পকেট খরচ চালানোর ব্যবস্থা করা যায় একটু সময় ব্যয় করলেই। লেখাপড়া করাই প্রতিটি ছাত্রের প্রধান কাজ। তবে বর্তমানে লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইন থেকে টাকা আয় বা রি-সেল করে অনেক তরুণ আয় করছে। এতে চলতি সময়ে খরচ মিটিয়ে, ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার করতে অনেক সুবিধা পাওয়া সম্ভব।

তাছাড়া ছাত্রাবস্থায় লেখাপড়ার পাশাপাশি অনলাইন সেক্টরে কাজ গুলো করলে ছাত্র জীবন শেষ করার পর কর্মজীবন খুঁজে দিতে অনেকটাই সহায়তা করবে। আনন্দের ব্যাপার হলো তরুণ সমাজে পেশা নিয়ে চিন্তাধারা বদলাচ্ছে।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কিংবা অনলাইনে ইনকাম অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন স্কুল ও কলেজ এবং মাদ্রাসা পড়ুয়ার স্টুডেন্ট ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করছে। এদের মধ্যে একজন শুভ, পুরো নাম মো: গোলাম মহিউদ্দিন (শুভ), পিতা সেলিম উদ্দীন এর ২ সন্তানের মধ্য সে বড়, তার বয়স ১৯, রাজবাড়ি জেলাস্থ সদর উপজেলার, দাঁদশী ইউনিয়নের কামালদিয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। ইনস্টিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি), মাদারিপুর এর মেডিকেল টেকনোলজি রেডিওগ্রাফি ডিপার্টমেন্টে প্রথম বর্ষের ছাত্র।

এখানে ভর্তি হওয়ার পরে লেখাপড়ার সাথে কোন কাজ করার জন্য চিন্তা ভাবনা করতে থাকে। যাতে তার পরিবারের উপর চাপটা কিছু কমে যায়। সে কয়েকটি শার্ট-প্যান্টের ফ্যাক্টরিতে যোগাযোগ করে রিসেলার হিসেবে কাজ করতে থাকে। এতে তার হাত খরচের টাকা আসে। কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবর্তনের সাথে সাথে তার ব্যবসা কিছুটা মন্দা পরিলক্ষিত হয় তাই তিনি বসে না থেকে অন্য ধরনের ব্যবসা করতে মনস্থির করে।

শুরু করে শীতকালীন খেজুর রসের গুড় বিক্রি করা। প্রকৃতিক উপায়ে তৈরি অর্গানিক খেজুর গুড়। সময় সুযোগ বুঝে খেজুরের গুড় উৎপাদনকারীর বাড়িতে নিজে উপস্থিত থেকে এগুলি বানিয়ে নিয়ে আসে, যা রাসায়নিক মুক্ত এবং অনলাইনে অর্ডার সরবরাহকারি কে পাঠিয়ে দেয়। সে অনলাইনে মোটামুটি ছাড়া পাচ্ছে।

তাড়া সে এসএসসি পরীক্ষা শেষে অনুষ্ঠিত ডিপ্লোমা আইএইচটি ও ম্যাটস ভর্তি পরীক্ষার গাইড, এবং আইএইচটি ও ম্যাটসের সকল একাডেমিক বই বিক্রি করে থাকে।

বই বিক্রির পাশাপাশি সে বর্তমানে মৌসুমি ব্যবসার দিকে নজর দিচ্ছে। শুভ জানায় লেখাপড়া শেষ করে সে ব্যবসার দিকে মনোনিবেশ করবে এবং সাফল্য অর্জনের আশা ব্যক্ত করে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker