প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। তাতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৬ হাজার ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকলো না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেন।
তবে প্রশ্নফাঁসের ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল না করা পর্যন্ত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না। একই সঙ্গে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) যুক্ত করতে বলেছেন আদালত।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) গত মঙ্গলবার স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরীক্ষা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
এছাড়া, প্রশ্নফাঁসমুক্ত পরীক্ষা গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নতুন করে পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
গত ২৯ মার্চ এই ধাপে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রার্থী ছিলেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ। এ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। প্রশ্নফাঁসের পরও গত ২১ এপ্রিল রাতে ফল প্রকাশ হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে ১৫ পরীক্ষার্থী রিট দায়ের করেন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.