ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়ায় বোয়িং ৭৩৭ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের ‘অপরাধের শিকার’ আখ্যা দিয়ে রায় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত।
এ বিষয় নিষ্পত্তিতে মার্কিন সরকার ও বোয়িং কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ ছিল বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) এ রায় দিয়ে টেক্সাস আদালতের বিচারক রিড ও’কনর বলেন, বোয়িংয়ের প্রতারণার ষড়যন্ত্রের ফলস্বরূপ ৩৪৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ হবে আলোচনার ব্যাপারে না জানানোর ফলে নিহতদের পরিবার কী ধরণের ক্ষতিপূরণ পাবে তা ঠিক করা।
প্রথম বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে ইন্দোনেশিয়ায় ২০১৮ সালের অক্টোবরে। সে দুর্ঘটনায় ১৮৯ জন আরোহী নিহত হন।
এরপর ২০১৯ সালের মার্চে ইথিওপিয়ায় আরও একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে নিহত হন ১৫৭ আরোহী।
এ দুই দুর্ঘটনার পর সারা পৃথিবীতে দুই বছর বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমান উড্ডয়ন বন্ধ ছিল। যেই স্বয়ংক্রিয় ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছিল সেটি ঠিক করার পরই তাদেরকে আবার উড্ডয়নের অনুমতি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে গত বছর বোয়িং কর্তৃপক্ষের সাথে মীমাংসা করে মার্কিন সরকার। তবে এ দুই দুর্ঘটনা ফৌজদারি বিচার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে, এ রায়ের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি বোয়িং কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার ব্যাপারে সরকারকে ২৪৩ মিলিয়ন ডলারের জরিমানাসহ আড়াই বিলিয়ন ডলার দেয় বোয়িং। বিনিময়ে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়নি বিচার বিভাগ।
গোপন এই মীমাংসার ব্যাপারে কেন নিহতদের পরিবারকে জানানো হয়নি তা জানতে চাইলে বিচার বিভাগ জানায়, নিহতদের পরিবার অপরাধের শিকার নয়।