ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটালাইজেশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সচেতনতার অভাব। জনগণকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি প্রযুক্তির বিষয়ে শিক্ষিত করা অপরিহার্য।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি বিসিএসসহ সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডিসমূহকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে এগিয়ে আসতে হবে।
আজ শনিবার ঢাকায় বিসিএস কম্পিউটার সিটি প্রতিষ্ঠার ২২ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিসিএস কম্পিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত চারদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের শতকরা ৩৫ ভাগ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। সারাদেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারিত হওয়ায় খুব সহসাই স্মার্টফোনের ব্যবহারকারির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে শতকরা ৮৫ ভাগ থেকে ৯০ ভাগে উন্নীত হবে।
তিনি বলেন, আমরা এবছরেই ৫জি যুগে প্রবেশ করছি। আর প্রযুক্তির এই আধুনিক ভার্সনটি হবে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পণ্য।
মন্ত্রী দেশের আধুনিক প্রযুক্তি পণ্যের হাব হিসেবে পরিচিত বিসিএস কম্পিউটার সিটিকে প্রচলিত ডিজিটাল পণ্যের পাশাপাশি আধুনিক ডিজিটার ডিভাইসের হাব হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ১৯৯৮ সালে কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের সোপান রচিত হয়।
গত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র ৮ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হতো। বর্তমানে তা সাড়ে ২৬শ’ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএসএস সভাপতি শাহিদ-উল মুনীর, সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, আহমেদ হাসান জুয়েল, সবুর খান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনেম রানা, বিসিসিএস সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
পরে মন্ত্রী বিসিএস কম্পিউটার সিটির ২২ বছর পদার্পণ উপলক্ষে চারদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। সূত্র: বাসস
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.