মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই হয়ে উঠছে পারে লেখক, চলচ্চিত্রকার, বিজ্ঞানী বা কবি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাট জিপিটি’র এমন গুণ সম্পর্কে এখন সবারই কমবেশি জানা। কিন্তু দিন যতো এগোচ্ছে ততোই শক্তিশালী হয়ে উঠছে এ এআই।
এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মেডিসিন (ডাক্তার) অনুশীলনের জন্য প্রয়োজনীয় গোল্ড-স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘চ্যাট জিপিটি’। এর ফলে এআই নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে নতুন করে শঙ্কায় পড়েছেন এ পেশায় জড়িতরা।
সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন মেডিকেল লাইসেন্সিং পরীক্ষার (ইউএসএমএলই) তিনটি পত্রে চ্যাট জিপিটি ৫২ দশমিক ৪ থেকে ৭৫ শতাংশের মধ্যে স্কোর করেছে। প্রতি বছর এ পরীক্ষায় সাধারণ ৬০ শতাংশ মানুষ পাশ করে।
প্রযুক্তি সংস্থা অ্যানসিবল হেলথের গবেষকরা বলেছেন, এ ধরণের কঠিন ক্লিনিকাল পরীক্ষায় পাশ করা এবং কোনো মানবিক শক্তি ছাড়াই এটি করা, এআই পরিপক্কতার একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
The AI doctor will see you now: ChatGPT passes gold-standard US medical exam https://t.co/FydqMDEU0h
— Daily Mail US (@DailyMail) February 9, 2023
এরইমধ্যে পিএলওএস ডিজিটাল হেলথ জার্নালে এ গবেষণা ও ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
ওপেনএআই সংস্থার তৈরি চ্যাট জিপিটি (চ্যাট জেনারেটিভ প্রি-ট্রেনড ট্রান্সফরমার) হল একটি ভাষাভিত্তিক বট যা মানুষের মতো প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
প্রযুক্তিটি ইতিমধ্যেই ব্যবসায় (ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভেনিয়ার ওয়ার্টন স্কুল অফ বিজনেস) এবং আইন (মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়) স্কুলগুলোতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
চ্যাট জিপিটির নির্মাতারা বিশ্বাস করেন যে, তাদের এআই চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি মূল্যবান হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি
বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধ্যাপক নেলো ক্রিস্টিয়ানিনি বলেছেন, চ্যাট জিপিটির জ্ঞান মানুষের সাথে তুলনাযোগ্য নয়। তাই আমাদের কোনো নির্দিষ্ট ধারণা সম্পর্কে আগে থেকেই কথা বলা উচিত নয়।
সবশেষ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, মেশিন লার্নিং প্রক্রিয়ায় চ্যাট জিপিটি প্রতিদিনই নতুন নতুন শব্দ শিখছে, অনুমান করে উত্তর দেবার দক্ষতাও বাড়াচ্ছে। অন্যদিকে বিজ্ঞানের একাধিক শাখায় দক্ষতা অর্জন করছে এটি।
গেল জানুয়ারিতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে চ্যাট জিপিটি নামক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাটবট। গত বছরের নভেম্বরে উন্মুক্ত হবার পর মাত্র দুই মাসের মধ্যে ১০ কোটিরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী পেয়েছে চ্যাট জিপিটি।