পাকিস্তানে অনার কিলিংয়ের (পরিবারের সম্মান রক্ষায় হত্যা) ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীর। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। ভাইরাল একটি ছবিতে ওই তরুনীকে একজন যুবকের সঙ্গে নাচতে দেখা যায়। এতেই পরিবার ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই তরুণীকে হত্যা করে।
তবে পুলিশ সন্দেহ করছে, ভাইরাল হওয়া ছবিটি সম্পাদনা করে বিকৃত করা হয়েছিল।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চল কোহিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত সপ্তাহে। একটি উপজাতীয় সালিশে (স্থানীয় ভাষায় জিরগা) প্রবীণদের নির্দেশে, বাবা ও চাচা মিলে তরুণীকে গুলি করে হত্যা করে। বাবাকে ইতিমধ্যেই পুলিশ হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে, তবে চাচা পলাতক।
পুলিশ বলেছে, দুটি ছবির ক্ষেত্রেই ফটোশপের কারসাজি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। একটি জাল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিগুলো পোস্ট করা হয়েছিল। এই ধরনের কাজের পেছনে করা রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় যুবতিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছিল, কিন্তু আদালতের শুনানির পর তাঁকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
তবে সে জানিয়েছে, বাড়িতে তিনি জীবননাশের কোনো হুমকির সম্মুখীন হননি।
কোহিস্তান পাকিস্তানের উত্তর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি পার্বত্য অঞ্চল। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অঞ্চলে সম্প্রতি ‘অনার কিলিং’-এর ঘটনা বেড়েছে। পাকিস্তানে প্রতি বছর কয়েক শ নারীকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ধরনের ক্ষেত্রে অনেক কম সংখ্যক পুরুষকে হত্যা করা হয়। ২০১১ সালে একটি বিয়েতে গান গাওয়ার জন্য তিন কোহিস্তানি নারীকে হত্যা করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের সরকার আইন সংশোধন করেছে, যাতে খুনিদের বাধ্যতামূলক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.