একজন শিল্পীর ক্যারিয়ারের প্রতিটি গানই তার জন্য বিশেষ। তবে কিছু কিছু গান থাকে, যা তাকে নিয়ে যায় অনন্য উচ্চতায়। শ্রোতাদের কাছে যে গানগুলো তুমুল জনপ্রিয়। নতুন নতুন গানের ভিড়েও যে গানগুলো থাকে চিরসবুজ।
যে গানগুলো বছরের পর বছর সেই শিল্পীর পরিচয় বহণ করে। শ্রোতাদের সামনে বার বার যে গানগুলো গাইতে পছন্দ করেন শিল্পীরাও।
একজন সংগীতশিল্পীর অন্যতম পছন্দের জায়গা স্টেজ শো। এই মঞ্চ থেকেই বেশিরভাগ শিল্পীর গানের জগত শুরু হয়।
স্টেজ শো’র মাধ্যমে সরাসরি শ্রোতাদের সামনে পারফরম করার সুযোগ থাকে। যে সুযোগ হারাতে চাননা কেউই। প্রত্যেক শিল্পীর এমন কিছু গান থাকে, প্রতিটি স্টেজ শোতেই যেগুলো গাইতে হয়। প্রিয় শিল্পীর কণ্ঠে সেই গান শুনে বারবার মুগ্ধ হতে চায় দর্শক-শ্রোতা।
স্টেজ শো’র মাধ্যমে সরাসরি শ্রোতাদের সামনে পারফরম করার সুযোগ থাকে। যে সুযোগ হারাতে চাননা কেউই। প্রত্যেক শিল্পীর এমন কিছু গান থাকে, প্রতিটি স্টেজ শোতেই যেগুলো গাইতে হয়। প্রিয় শিল্পীর কণ্ঠে সেই গান শুনে বারবার মুগ্ধ হতে চায় দর্শক-শ্রোতা।
তার মধ্যে ‘দিন গেল’, ‘ভালোবাসব বাসব রে’, ‘জাদু’, ‘কৃষ্ণ’, ‘আমি তোমার মনের ভেতর’ অন্যতম। একেকটা গান একেক রকমের, একেক মেজাজের—সব কটির জন্যই অনুরোধ থাকে দর্শক-শ্রোতার। তাদের চাহিদা মাথায় রেখেই গানের তালিকা সাজাই। সামনে থাকা অগণিত দর্শক যখন কোনো গানে সুর মেলায়, সেই দৃশ্য একজন কণ্ঠশিল্পীর কাছে সেরা অভিজ্ঞতা। আমার ‘দিন গেল’ বা ‘ভালোবাসব বাসব’ গানে এই অভিজ্ঞতা হয়েছে বহুবার।
প্রিয়তমা, মেঘ (সোমনুর মনির কোনাল)
‘প্রিয়তমা’টা বেশি গাইতে হয়। এ গানে আমি দর্শক-শ্রোতার কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাই। ‘প্রিয়তমা’ গানটি যখন মুক্তি পায়, তখন এটি গ্লোবাল টপচার্টে সেরা ত্রিশের মধ্যে এসেছিল, যেটা অনেক বড় ব্যাপার। এখনো অনেকে এ গানের রিলস করে আমার কাছে পাঠায়। ‘প্রিয়তমা’র এই জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ এর কথায় জটিলতা নেই, কিন্তু শব্দচয়ন সুন্দর, সুরটাও শ্রুতিমধুর। এ গানের বিশেষ লাইন ‘তুমি তুমি তুমি শুধু তোমারই উপমা, তোমাকে জানিয়ে দিলাম ও প্রিয়তমা’—বারবার শুনতে চায় শ্রোতা। রিলস, টিকটকেও এই অংশটুকুই বেশি ব্যবহৃত হয়। এর বাইরে ‘মেঘ’-এর কথা বলা যায়। গানটি করেছি এক যুগের মতো হয়ে গেছে। অবাক করা ব্যাপার হলো, মফস্বলে গেলে এই গানের অনুরোধ আসে অনেক। অনেকেই গানটা আমার মাধ্যমে তার ভালোবাসার মানুষকে উৎসর্গ করে।
আলো, প্রেমাতাল, ঈর্ষা (তাহসান রহমান খান)
মঞ্চে বেশ কয়েকটা গানই আমাকে বারবার গাইতে হয়। এর মধ্যে ‘আলো’, ‘প্রেমাতাল’, ‘ঈর্ষা’, ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ অন্যতম। বিশেষ করে যদি একটি গানের কথা বলতে হয়, বলব ‘আলো’র কথা। এ গানের সঙ্গে আমার পথচলা প্রায় দুই দশকের। নিজের কথা ও সুরে আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের গান, তাই একটা আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। ‘ইচ্ছে’ (২০০৬) অ্যালব্যামের গান এটি। যখন সুর করি, তখনই বুঝতে পারি শ্রোতারা গানটি গ্রহণ করবে। তার পর থেকে যেকোনো কনসার্ট বা টেলিভিশনের লাইভ অনুষ্ঠানে যাই, এ গানের অনুরোধ আসবেই।
স্টেজ শোর আগে আমার জনপ্রিয় কিছু গানের অনুশীলন করলেও এ গানের জন্য কখনো অনুশীলন করি না। কারণ আমি জানি, দর্শক-শ্রোতারা নিজেরাই এ গান গাওয়া শুরু করে দেবে, আমাকে পুরোটা গাইতে হবে না। এমনও হয়েছে, এ গানটাই তিন-চারবার গাইতে হয়েছে। গত বছর একটা কনসার্টে এ গান গাওয়ার সময় ভিন্ন রকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও। দর্শক পছন্দের বাইরে মঞ্চে নিজের অন্যতম পছন্দের গান ‘প্রার্থনাদ’ গাওয়ার চেষ্টা করি। এ গানের অনুরোধ তেমন আসে না, তবে সুযোগ পেলেই গানটা গাই।