মুক্তি পেয়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে বহনকারী সাদা রঙের গাড়িটি কারাফটক থেকে বের হয়। প্রায় ২৭ দিন পরীমনি কারাগারে বন্দি ছিলেন।
পরীমনির জামিনের খবরের পর থেকে কারাফটকে মানুষ ভিড় করতে থাকে। ঢাকাই ছবির এ অভিনেত্রীও তার জন্য অপেক্ষমাণ ভক্তদের নিরাশ করেননি। কারামুক্ত হয়েই গাড়ি থেকেই ভক্তদের সঙ্গে সেলফি তোলেন তিনি। এ সময় সাদা পোশাকে পরীমনিকে সবার উদ্দেশে হাত নেড়ে হাসিমুখে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেছে। তার হাতের তালুতে ‘Dont love (প্রতীকী চিহ্ন) me Bitch’ লেখা ছিল। তাঁর হাতের লেখায় কোনো বার্তা ছিল কি না; সে বিষয়ে পরীমনি বলেন, ‘ডেফিনিটলি এটা তো একটা বার্তাই ছিল’।
পরীমনি বলেন, ‘এত কথা তো বলতে পারছিলাম না ওখানে বসে, মনে হলো এভাবে পৌঁছাইয়া দেই সবাইকে। এখন এটা দেখে যে মনে করবে, যার মনে হবে, আমাকে বলছে মনে হয়, ওর জন্যেই বলছি আমি।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিচের সংখ্যা তো অনেক লম্বা, নির্দিষ্ট করে কিভাবে বলব?’
এর আগে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ শাহ শরীফ জানান, আদালত থেকে পরীমনির জামিনের কাগজপত্র মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাতে কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে পরীমনিকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ সময় পরীমনির স্বজনরা কারাফটকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। ওই দিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে ৪ দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ২ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
পরে ১৩ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল। আদালতের আদেশে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রিজন ভ্যানে করে পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ওই কারাগার থেকে গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে এক দিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পুনরায় পরীমনিকে এ কারাগারে পাঠানো হয়।