চারদিকে বসন্তের আগমনী বার্তা, সেই বার্তায় বাড়তি দোলা দিচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। প্রেম, বিচ্ছেদ ও বন্ধুত্ব। এই তিনটি জিনিসকে উপজীব্য করে ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে ছোট পর্দা ও ইউটিউবে একযোগে প্রচার হয় অসংখ্য নাটক।

এই ভালবাসা দিবসকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলের পৌজানের খোলা প্রান্তরে এসময়ের জনপ্রিয় পরিচালক ও অভিনেতা সাজু মেহেদীর পরিচালনায় টোকাই নাট্যদলের কলাকুশলীদের নিয়ে চলছে ভালবাসার নাটকের শুটিং। শিশু শিল্পী হিসেবে মঞ্চ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে প্রায় কয়েক যুগ আগে কাজ শুরু করেছিলেন নাট্য নির্মাতা সাজু মেহেদী। তারপর থেকেই বিভিন্ন গুণি নির্মাতাদের হাত ধরে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, সিনেমা, টিভি নাটক ও ইউটিউব নাটকে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
পরিচালক সাজু মেহেদীর মিশন নাইনটিকে বলেন, আমরা সুস্থ ধারার সংস্কৃতির কাজ করার প্রত্যয় নিয়ে পথ চলা শুরু করেছি। শুটিং করতে নিজ এলাকা টাঙ্গাইলের পৌজান এসেছি। এবার আরো কিছু নতুন প্রেমের গল্প নিয়ে নাটক ও মিউজিক ভিডিওর কাজ করছি। এবারের নির্মিত নাটক ও মিউজিক ভিডিওগুলো বিভিন্ন ইউটিউবে প্রচার হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, এবারে সকলকে নিয়ে শুটিং করে বেশ মজা পাচ্ছি। একসঙ্গে খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি এ এক অন্যরকম ভালো লাগা।
নাটকের কলাকুশলীদের মধ্যে প্রধান চরিত্রে রয়েছেন মডেল ও অভিনেতা আহান ইমন, বৃষ্টি আহমেদ এবং জান্নাতুল ফেরদৌসী রত্না।
আরো অভিনয় করছেন, হুমায়ুন, সাজু মেহেদী, নাজিম উদ্দিনসহ আরো অনেকে। সবগুলো নাটকের রচনা করেছেন নাজিম উদ্দিন ও চিত্রগ্রহণে রয়েছেন সোহান আহমেদ।

ইউটিউব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিচালক সাজু মেহেদী মিশন নাইনটিকে বলেন, “ইউটিউব হচ্ছে একটি উন্মুক্ত বাজার। এখানে অসংখ্য প্রতিযোগী বিদ্যমান। এখানে সফলতার সাথে কাজ করতে পারাটা আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে। টিভি নাটকের পাশাপাশি আমি ইউটিউবে নিয়মিত কাজ করবো। বর্তমানে ইউটিউবের শর্ট ফিল্ম সুস্থ্য ধারার বিনোদনের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।”
সাজু মেহেদীর পরিচালনায় প্রেমময় নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে আহান ইমন বলেন “আমি অনেক দিন পর নতুন করে নাটকে কাজ করার শুরু করলাম। সাজু মেহেদী ভাইয়ের হাত ধরে এখন থেকে নিয়মিত কাজ করতে পারবো বলে আশা রাখি। আর তাছাড়া শুটিং সেটের সবাই বেশ আন্তরিক, এবং হেল্পফুল। সবার সাথে কাজ করে আমার খুব ভালো লাগছে। ভালো সময় পাড় করছি।”
টাঙ্গাইলে শুটিং করতে এসে পরিচালকসহ সকলের হয়েছে নতুন অভিজ্ঞতা। চলতি মাসের ৩ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে শুটিং। শুটিং এর সংবাদটি ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকার ছোট ছোট বাচ্চারা মোবাইল হাতে নিয়ে শুটিং দেখতে অপরিকল্পনীয় ভিড় জমায়।
