সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে উঠে এসেছেন তিনি। নিজের শখ পূরণ করতে মিডিয়াতে পা দেয়ার আগেই বানিয়েছিলেন বেশকিছু মিউজক ভিডিও। যেগুলো ফেসবুক-ইউটিউবে শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যায় ভাইরাল। এরপর তাকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী দেখাতে থাকেন বেশকিছু পরিচালক। কাজও করেছেন দেশের চলচ্চিত্রে। দর্শকপ্রিয়তা না পেলেও সিনেমাগুলো নিয়ে হয়েছে দর্শকমহলে সমালোচনা। তবে থেমে থাকার পত্র নন তিনি। নিজের মতো করে উপস্থিত হন পছন্দের কাজ নিয়ে। তিনি হলেন আশরাফুল আলম। যাকে সবাই হিরো আলম নামে চেনে।
হিরো আলম যে শুধু একজন অভিনেতা তা কিন্তু নয়। একাধারে তিনি একজন অভিনেতা, প্রযোজক ও সঙ্গীতশিল্পী। সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া গানগুলো নিজের মতো করে গাইতে পছন্দ করেন তিনি। কখনও ‘কাঁচা বাদাম’ তো ‘কখনও মানিকে মাগে হিতে’-এর মতো জনপ্রিয় গানগুলো কাভার করেছেন তিনি। তবে গান গেয়ে আলোচনার থেকে সমালোচিত হয়েছেন। কিন্তু বরাবরই সমালোচনাকে বুড়া আঙুল দেখিয়ে গেয়ে গেছেন নিজের মতো করে।
আরো পড়ুন: দেশের জনগণ আমাকে প্রচন্ড পরিমাণ ভালোবাসে: হিরো আলম
এবার তিনি হাজির হয়েছেন বর্তমান সময়ের ভাইরাল ‘পুষ্পা’ সিনেমার ‘শারফি’ গান নিয়ে। গানটি নিয়ে ইতোমধ্যেই ট্রল শুরু হয়েছে। অনেকেই সঙ্গীতকে এভাবে বিকৃত করা জন্য আলমের দৃষ্টিও আকর্ষণ করেন। এ প্রসঙ্গে হিরো আলম সিটি নিউজকে বলেন, ‘সবাই তো ভাইরাল হওয়া গান গায়। ‘শারফি’ গানটি আমি গাওয়ার আগে অনেকেই বাংলা, হিন্দি ভাষায় গেয়েছে। কই তাদের নিয়ে তো কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। কেউ তো তাদের প্রশ্ন করেনি কেন তারা গাইলেন? আমি বুঝি না আমি গাইলেই কেন সবার এত মাথাব্যথা জাগে।’ এরপর তার গাওয়া গানগুলো সঙ্গীতকে বিকৃত করছে কি না- জানতে চাইলে হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমি শিল্পী নই, শখে গান গাই। আর প্রতিটি মানুষের গান গাওয়ার অধিকার আছে। সেই অধিকার থেকেই আমি গান করি। এ ছাড়া আমি চাই সবাইকে বিনোদন দিতে। তাই আমার মতো করে আমি উপস্থাপনা করি।’
এর আগে এফডিসির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের আলোচিত এই অভিনেতাকে অপমান করা হয়। যা নিয়ে তিনি ফেসবুক লাইভে আক্ষেপ ও প্রকাশ করেন। লাইভে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সিনেমা না বানালে কী, দেশের বাহিরে গিয়ে তো আমি সিনেমা বানাতে পারি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের লোকজন আমাকে গ্রহণ করেনি। এখন বাইরের দেশের চলচ্চিত্রের লোকজন আমাকে কতটা গ্রহণ করে সেটা দেখব।’