বিনোদন

চেয়ারে বসেই রিয়াজকে মিস করছেন নিপুণ!

অনেক জল ঘোলার পর প্রতীক্ষিত বিজয় এলো নিপুণের। শপথ গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় শিল্পী সমিতির অফিসে বসে তিনি তার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।

সাথে ছিলেন তার প্যানেলের নির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সন্ধ্যা ৬টায় শিল্পী সমিতির অফিসে প্রবেশ করেন কাঞ্চন-নিপুণ। সেখানে কাঞ্চনের হাতে ফুল দিয়ে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন বিদায়ী সভাপতি মিশা সওদাগর। এরপর তিনি নিপুণকেও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এসময় সমিতির নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গলায় মালা পরিয়ে দেন শিল্পীরা। চেয়ারে বসেই তাৎক্ষণিকভাবে নিপুণ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই মুহূর্তে রিয়াজ ভাইকে খুব মিস করছি। আমার জয়ের নেপথ্যে তিনি নিরলসভাবে খেটেছেন। তিনি আমার সঙ্গে থাকলে এ বিজয় আরও রঙিন হয়ে উঠতো।

রিয়াজ ছিলেন কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে সহসভাপতি প্রার্থী। তিনি পরাজিত হন ডিপজল-রুবেলের কাছে।

নিপুণ বলেন, রিয়াজ ভাই সবসময় আমার সঙ্গে থাকবেন। আগামীতেও তাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। নির্বাচনি ইশতিহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি সবগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই। যারা পরাজিত হয়েছেন তাদের নিয়েও আমি কাজ করতে চাই।

এর আগে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে শপথবাক্য পাঠ করান বিদায়ী সভাপতি মিশা সওদাগর।

শপথ পাঠের পর মিশা সওদাগর বলেন, ‘অনেকে ভেবেছেন হয়তো আমি অনুষ্ঠানে আসব না। আলমগীর ভাই আমাকে ডেকেছেন। কাঞ্চন ভাই আমাকে ফোন করেছেন। তাঁরা আমার শ্রদ্ধেয় বড় ভাই। তা ছাড়া ইলিয়াস কাঞ্চন ভাই আমার প্রাণের মানুষ। তাঁর জয় তো আমি আগেই মেনে নিয়েছি। তাঁর জয়ে আমি খুশি হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, কাঞ্চন ভাই এই জায়গায় থাকলে চলচ্চিত্র অনেক দূর এগোবে। আমরা আর যেন পুরোনো কাসুন্দি না ঘাঁটি। কাঞ্চন ভাইকে অনুরোধ করব, ২১ জনকেই সঙ্গে নিয়ে তিনি যেন চলচ্চিত্রের জন্য কাজ করে যান।

এরপর মিশা-জায়েদ প্যানেলের একজনসহ কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের সবাইকে শপথবাক্য পাঠ করান ইলিয়াস কাঞ্চন। অন্যরা না এলেও, মিশা-জায়েদ প্যানেলের কার্যকরী পরিষদের সদস্য নাদের খানকে অনুষ্ঠানে দেখা গেছে।

শপথ অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান শুরু হয় শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে। ইলিয়াস কাঞ্চনকে সভাপতির চেয়ারে বসিয়ে তাঁর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন মিশা সওদাগর। সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে নিপুণকে বসিয়ে দেন কাঞ্চন।

এ সময়ে সহসাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী সাইমন সাদিক বলেন, ‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য দুটি নতুন চেয়ার আনা হয়েছে, আপনারা যদি অনুমতি দেন, তাহলে ভেতরে আনতে পারি?’

এদিকে সভাপতির চেয়ারে বসে তাৎক্ষণিক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি মিশাকে এখানে আসতে ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছিলাম। এসেছে সে। এটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। যাঁরা আসেননি, তাঁরা হয়তো রাগ করে আছেন। আশা করব শিল্পীদের স্বার্থে সব ভেদাভেদ ভুলে এখানে আসবেন সবাই। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’

নিপুণ বলেন, ‘মিশা ভাই আমার বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন, থাকবেন। আমরা আগেই বলেছিলাম, সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব। সেটা যেন পারি আমরা। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker