নীল স্টোনের ব্রেসলেট ছাড়া সালমান খানকে সেভাবে কখনোই দেখা যায় না! সালমনের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট হয়ে গেছে এটি। যদিও অভিনেতার জন্য এটা খুব পয়া, তাই কখনো কাছছাড়া করেন না এটিকে। একবার এক সাক্ষাৎকারে সালমান এক ভক্তের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিলেন ব্রেসলেটের গোপন রহস্য।
একটি ভিডিওতে সালমানকে বলতে শোনা গেছে এই ব্রেসলেটের ব্যাপারে নানা কথা। অভিনেতা জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা এটা সব সময় পড়ত। আর বড় হয়ে ওঠার সময় আমার ওটা বাবার হাতে দেখে খুব কুল লাগত। ছোটরা যেমন বড়দের জিনিস নিয়ে খেলা করে আমিও করতাম ব্রেসলেট নিয়ে। তারপর যখন অভিনয়ে পা রাখি, বাবা আমাকে ঠিক ও রকম একটা ব্রেসলেট উপহার হিসেবে দেয়। এটায় যে পাথর বসানো, ওটাকে বলে ফিরোজা।’
ব্রেসলেটে বসানো ফিরোজা পাথরটিকে ‘লিভিং স্টোন’ হিসেবে উল্লেখ করে সালমান জানিয়েছিলেন, ‘এটার সাথে যেটা হয় তা হলো, যখনই কোনো নেতিবাচক জিনিস তোমার দিকে আসে তখন এটা সেটাকে সবার আগে নিয়ে নেয়। এর গায়ে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম দাগ আসে। তারপর গায়ে ফাটল ধরে। এটা আমার সাত নম্বর পাথর।’
একই ধরনের ব্রেসলেট পরেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের অভিনেতা জায়েদ খান। সালমান খানের মতো ব্রেসলেট কেন পরেন এই বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, ‘আসলে আমার এক বড় ভাই আমাকে ভালোবেসে একটি ব্রেসলেট উপহার দেন। সেটি সালমান খান যে ব্রেসলেটটি পরেন, সে রকমই। যেহেতু আমি নিজে সালমান খানের ফ্যান (ভক্ত), সে কারণে আমি বেশ কয়েক দিন সেটি পরেছিলাম। সে বেশ কয়েক বছর আগের কথা।’
২০০৬ সালে বরেণ্য পরিচালক মহম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ ছবি দিয়ে ঢালিউডে পা রাখেন জায়েদ খান। গত বছর মালেক আফসারী পরিচালিত ‘অন্তরজ্বালা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি প্রশংসিত হন। ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেন আলোচিত নায়িকা পরীমনি।
অন্যদিকে সালমান খান ১৯৮৭ সালে চলচ্চিত্রে আসেন। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় ‘বিবি তো হ্যায় অ্যায়সি’। তবে ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ দিয়ে শোরগোল ফেলে দেন উপমহাদেশের চলচ্চিত্র জগতে।