চিত্রনায়িকা পরীমনিকে মারধর, বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছেন পরীমনি। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিনের আদালতে তিনি এ নারাজি দেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতো মামলাটি ঠিকভাবে তদন্ত হয়নি। মামলাটির তদন্ত একতরফাভাবে হয়েছে।’
এদিন মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এজন্য পরীমনি আদালতে উপস্থিত হয়ে আদালতে অভিযোগ পত্রের ওপর নারাজি দেন। অপরদিকে নাসির ও অমি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জানা রিফাত জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘আসামিরা জামিনের পর পরীমনিকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। আমরা আসামি নাসির ও অমির জামিন বাতিলের আবেদন করছি। এছাড়া মামলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী, সিসি ফুটেজ কয়েকজনের সাক্ষী তদন্তে উঠে আসে নাই। তাই আমরা চার্জশিটের ওপর নারাজি দিয়েছি।’
অন্যদিকে নাসির ও অমির জামিন শুনানিতে তার আইনজীবীরা বলেন, জামিনের কোনো শর্তভঙ্গ করেননি তারা। তাই তাদের জামিন আবেদন করছি।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনা করে নারাজির আদেশ পরে দিবেন বলে জানান।
গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেন আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলার অপর আসামি শহিদুল আলম পলাতক রয়েছে। এর আগে গত ১৪ জুন ধর্ষণ-হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরীমনি সাভার থানায় মামলা করেন।