জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার তালিকাভুক্ত আসামি জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে স্থানীয় জনতা মারধর করে থানায় সোপর্দ করেছেন। এ সময় সিদ্দিকের গায়ের পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়। সিদ্দিককে মারধর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৪টার পরে রাজধানী ঢাকার কাকরাইল এলাকায় এই ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায় সিদ্দিককে মারধর করে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে দিতে থানার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে থানার ভেতরে নিয়ে গেলে পুলিশ বাইরে আসে। এরপর পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
সিদ্দিককে যারা মারধর করে থানায় সোপর্দ করেছেন তারা কোনো দলীয় কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ভিডিওতে একজন ধারাবিবরণী দিচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা সিদ্দিককে, আওয়ামী লীগের একজন দালালকে আমরা পুলিশে হস্তান্তর করছি।’
অভিনেতা সিদ্দিকের জন্ম টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায়। প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই পরিকল্পনা করছেন নির্বাচন করবেন। ঢাকা-১৭ আসন ও টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর ও ধনবাড়ি) সংসদীয় আসন থেকে একাধিকবার আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করেও পাননি।
সিদ্দিক ১৯৯৯ সাল থেকে আরামবাগ থিয়েটারের নিয়মিত কর্মী। মঞ্চে ‘রাজারগল্প’, ‘পেজগি’, ‘বলদ’সহ বেশ কিছু কাজ করেছেন। পরে তিনি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে দীপংকর দীপনের ‘রৌদ্র ও রোদেলার কাব্য’ নাটকের ‘কাউয়া সিদ্দিক’ চরিত্র দিয়ে প্রথম নাটকে নাম লেখান।
পরে ‘কবি বলেছেন’ নাটকে অভিনয় করে অনেকের চোখে পড়েন। পরে ইফতেখার আহমেদ ফাহমি ও রেদওয়ান রনির ‘হাউসফুল’ নাটকে ‘সিদ্দিক’ নামে অভিনয় করে প্রশংসিত হন। ‘গ্র্যাজুয়েট’ ও ‘মাইক’ নাটক দুটি তাকে আরও পরিচিতি এনে দেয়। কিছু চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে নেতা ও অভিনেতাকে।