বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ১৫ জনকে তলব করেছে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন।
আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে। সরাসরি কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অথবা অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিতে পারবেন তারা। এই সাক্ষীরা অসহযোগিতা করলে স্বাধীন তদন্ত কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আজ শনিবার এ সংক্রান্ত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন।
শেখ হাসিনা ছাড়া আরও সাক্ষ্যগ্রহণ দিবেন-
১. প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারেক আহমেদ সিদ্দিক (অব.)
২.ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস,
৩. গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জনাব শেখ ফজলুল করিম সেলিম,
৪. ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক,
৫. জামালপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মির্জা আজম
৬. ঢাকা – ৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম
৭. ৪৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের তৎকালীন অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ শামসুল আলম (অব.)
৮. সাবেক ডিজি ডিজিফআই লেফটেনেন্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর (অব.)
৯. সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল মঈন উ আহমেদ (অব.),
১০. সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ (অব.),
১১. সাবেক র্যাবের ডিজি হাসান মাহমুদ খন্দকার,
১২. সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ,
১৩. সাবেক পুলিশ মহা পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ,
১৪. সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষ্য প্রদান অপরিহার্য হয়ে পড়ায় উল্লিখিত ব্যক্তিরা সরাসরি কমিশনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অথবা অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
এতে আরও বলা হয়, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে কমিশনকে সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শেষ করতে হবে। এজন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে সাক্ষীদের তাদের প্রস্তাবিত সময়সূচি ফোন, ই-মেইল বা চিঠির মাধ্যমে কমিশনকে জানাতে হবে। অসহযোগিতার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে কমিশন।
এছাড়া, গত বুধবার (৫ মার্চ) পিলখানা হত্যাকাণ্ডবিষয়ক জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের ওয়েবসাইটে তদন্ত কার্যক্রমে সহায়ক তথ্য দিয়ে কমিশনকে সাহায্য করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করতে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় কমিশন।
এতে বলা হয়, বিডিআর হত্যাকাণ্ড বিষয়ক জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের ওয়েবসাইটের (bdr-commission.org) মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রমে সহায়ক তথ্য দিয়ে কমিশনকে সাহায্য করার জন্য সবাইকে উৎসাহিত করা হলো।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের ৪৯ দিনের মাথায় ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত নারকীয়, নৃশংস ও মর্মান্তিক ওই ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।