অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সদস্য ড: মোহাম্মদ সাদিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।
ব্রিফিংয়ে বাজারে মোমবাতি, শুকনো খাবার ও গ্যাস সিলিন্ডার বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, এসব বিষয়ে আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাজার তদারকি করবেন। দাম বাড়িয়ে জিনিসপত্র বিক্রির সত্যতা পেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সুনামগঞ্জ জেলায় ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও জগন্নাথপুরে ৫ টন করে জি.আর চাল দেয়া হয়েছে। ৬০০ টন জি.আর চাল মজুদ রয়েছে। শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছি। এছাড়াও এ পর্যন্ত নগদ ১০ লক্ষ টাকা বিভিন্ন উপজেলায় দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল রাখার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। পানি বৃদ্ধি পেলেও সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত এগুলো সচল রাখার বিষয়ে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
গত কয়েকদিন ধরে সুনামগঞ্জ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে সুনামগঞ্জের কিছু পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে ছাতক, সুনামগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। শহরের কিছু জায়গা প্লাবিত হয়েছে। যাদের প্রয়োজন তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রিতদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ছাতক, দোয়ারাবাজার, সদর বেশী এফেক্টেড। এছাড়াও বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ আংশিক এফেক্টেড হয়েছে।