লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় পপি রানি (৩০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি, যৌতুকের জন্য স্বামী উজ্জ্বল চন্দ্র রায় তাকে হত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের শিবরাম এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঁচ মাস আগে শিবরাম গ্রামের রুহিদাস চন্দ্র রায়ের ছেলে উজ্জ্বল চন্দ্র রায়কে ভালোবেসে বিয়ে করেন চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের বাবুল চন্দ্রের মেয়ে পপি রানি। বিয়ের পরপরই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন স্বামী। পপির ভ্যানচালক বাবা যৌতুকের কিছু টাকা দিলেও আরও টাকা দাবি করেন উজ্জল।
টাকা না পেয়ে পপির সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়ায় জড়াতেন তিনি। সম্প্রতি স্থানীয় এক অষ্টপ্রহরের অনুষ্ঠানে যাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটিও হয়েছিল দুজনের। সোমবার রাতে স্বামীর বাড়ির বিছানায় পড়ে থাকা পপির মরদেহের খবর পায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পপির বাবা বাবুল চন্দ্রের দাবি, ‘আমার বিশ্বাস যৌতুকের জন্য মেয়েকে জামাই উজ্জল হত্যা করেছে। আমি গরীব মানুষ। সরকারের কাছে মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল জাগো নিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মঙ্গলবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।