লামনিরহাটে পাঁচ সাংবাদিক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে যমুনা টিভির সাংবাদিক আনিসুর রহমান লাডলা গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১২ আগসষ্ট) বিকেলে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন করতে গেলে সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার রহমান মন্ডলের বড় ছেলে সাহেদ মন্ডল একই এলাকার দুই সন্তানের জননীকে ফুসলিয়ে নিয়ে বিয়ে করে। সাহেদ মন্ডল নিজেও দুই সন্তানের জনক। বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে সাংবাদিকরা সেখানে সংবাদ সংগ্রহে যায়। সাংবাদিক আসার কথা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে সাহেদ মন্ডল ১০/১২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সাকোরপাড় নামক স্থানে সাংবাদিকদের পথরোধ করে। পরে হামলাকারীরা সাংবাদিকের কাছে থাকা ক্যামেরা ট্রাইপড কেড়ে নিয়ে ক্যামেরা ভাংচুর করে। এ সময় সাহেদ মন্ডল সাংবাদিকদের ক্যামেরার ট্রাইপড দিয়ে সাংবাদিকদের এলোপাতারী আঘাত করতে থাকে। এসময় হামলাকারীরা ট্রাইপড দিয়ে যমুনা টিভির প্রতিনিধি আনিসুর রহমান লাডলার মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে রক্ত বের হয়। এসময় যমুনা টিভির ক্যামেরাম্যান আহসান ইসলাম, প্রথম আলোর সাংবাদিক আব্দুর রব সুজন, এখন টিভির মাহফুজুর রহমান বকুলের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় হামলাকারীরা সাংবাদিকদের সাথে থাকা মোবাইল ও হেলমেট কেড়ে নিয়ে যায়।
সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে তাৎক্ষণিক ছুটে আসেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মতিয়ার রহমানসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সামজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিকের উপর এমন ন্যাক্কার জনক হামলার ঘটনায় জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইনের সাংবাদিকগন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেছেন।