লালমনিরহাট

“বাংলাদেশি কলেজছাত্রী ভারতে পাচার”

ভারতের শিলিগুড়ি এলাকার ঘোড়ার মোড়ের এক বাসায় বাংলাদেশি এক কলেজছাত্রী বন্দী অবস্থায় নিজেকে উদ্ধারের আর্তি জানিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে গোটা লালমনিরহাট জুড়ে আলোরন সৃষ্টি হয়।

১৯ বছর বয়সী ওই কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে প্রেমিক তিলক ওরফে শুভ (৩০)। পরে ওই কলেজ ছাত্রীকে হাত পা বেঁধে কাঁটাতারের বেড়ার উপর দিয়ে ভারতে পাচার করে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায়।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহা আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় একটি অপহরন মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বুধবার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ৪ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায় ওই কলেজ যাত্রী নিজের পরিচয় দিয়ে বলেন,আমি প্রতারনার শিকার আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুসলিম পরিচয়ে বিয়ে করে ভারতে পাচার করেছেন। একটি বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন চালায় তিলক শুভ।

নিজেকে উদ্ধারের জন্য প্রধান মন্ত্রী ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে আর্তি জানান।

তিলক রায় শুভ উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকড়ি গ্রামের ধনঞ্জয় রায়ের ছেলে।

ভুক্তভোগীর বড়ভাই কামরুজ্জামান লুলু বলেন, আমার বোনের সঙ্গে তিলক ওরফে শুভর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বোনকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যায় শুভ। সেখানে তারা বিয়ে করে। বিয়ের পরে আমার বোন জানতে পারে তিলক ওরফে শুভ হিন্দু। এরপর আর তাদের দেখা পাওয়া যায়নি।

এরপর বোনকে না পেয়ে তাকে উদ্ধারে জন্য গত ৬ জানুয়ারি তিলক, তার বাবা ধনঞ্জয়, তার মামা গোপাল ও দুই বন্ধুসহ ৫ জনের নামে হাতীবান্ধা থানায় এজাহার দায়ের করি। তারপরেও তাদের কোনো খোঁজ-খবর পাননি তারা।

এরপর একদিন ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী তার বড়ভাইয়ের মোবাইল ফোনে নির্যাতনের কিছু ভিডিও ফুটেজ পাঠায়। সেই ফুটেজ দেখে তার ভাই আরেকজনকে সাথে নিয়ে চলতি মাসের ৪ আগস্ট ভারতের শিলিগুড়ি এলাকার ঘোড়ার মোড়ে গিয়ে পুলিশ এক বাসা থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারসহ তিলককে আটক করে এনজেপি থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে তারা শিলিগুড়ি থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।

হাতীবান্ধা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, এঘটনা থানায় একটি অপহরন মামলা হয়েছে। সেই মামলায় তিনজনের নামে আমরা আদালতে চার্চশিট প্রদান করেছি। তিনি আরও বলেন, ওই কলেজ ছাত্রী একটি ভিডিও আমরা দেখেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষ ওই মেয়ে ও ছেলেকে ভারত থেকে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker