পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শককে ‘চোর’ বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস! থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা (প: প:) পরিদর্শক কে ‘চোর’ বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার ঘটনায় থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২ মার্চ) বিকেলে আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোক্তারুল ইসলাম তথ্য-প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ দায়ের করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাতে আদিতমারী থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন পরিবার পরিকল্পনার পরিদর্শক মো: সামিউল ইসলাম সাধ্য।
অভিযুক্তরা হলেন- আদিতমারী উপজেলার ভেটেশ্বর গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে আব্দুল হান্নান সরকার (২৮) ও একই গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে নাজির হোসেন (২৮)।
জানা গেছে, উপজেলার ময়নারচওড়া বক্করেরহাট এলাকায় একটি অটোরিক্সা চুরি হয়। অটোরিক্সাটি উদ্ধার করতে মাঠে নেমে পড়ে আদিতমারী থানা পুলিশ। অবশেষে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে অটোরিক্সাটি উদ্ধার করে আদিতমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হামিদ। এ ঘটনায় আব্দুল হান্নান সরকারসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো দুইজনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি চুরি’র মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে, অভিযুক্তদের ধারনা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সামিউল ইসলাম সাধ্য ও তার প্রতিবেশী শামীম মিলে পুলিশকে তথ্য দিয়ে চুরি হওয়া অটোটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ধারনা থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে চুরির মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল হান্নান সরকার নিজের ফেসবুক টাইম লাইনে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সামিউল ইসলাম সাধ্য ও তার প্রতিবেশি ভাই শামীমকে প্রফেশনাল চোর ও অন্ধকার জগতের বাদশা লিখে তাদের ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে মুহুর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য শুরু হয়।
পরে, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শককে সামাজিক ভাবে হেয় করা হয়েছে দাবি করে হান্নান সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সামিউল ইসলাম সাধ্য। তিনি বলেন, ‘অটোরিক্সা চুরির ঘটনায় পুলিশ চোরাই মালামাল উদ্ধার করে মামলা করেছে। সেই চুরির মামলার আসামী হান্নান সরকার আমাকে চোর বলে ফেসবুকে আমার ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে। যাতে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করা হয়। এ বিষয়ে বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।’
আদিতমারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো: মোক্তারুল ইসলাম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, নিজে চোর হয়ে অন্যকে চোর বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয়াও অপরাধ। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। একইসাথে, চুরি’র মামলায় হান্নান সরকারকে গ্রেপ্তার করতে জোর চেষ্টা চলছে।