লালমনিরহাটে ৩ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার শাহীন (৪০) কে গ্রেফতার করেছে আদিতমারী থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় আরো ১৯ মামলার পরোয়ানাজারি আছে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে আদিতমারী থানা পুলিশ প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারী রাতে আদিতমারী থানার এসআই জয়নাল আবেদিন ভালুকা মডেল থানা পুলিশের সহযোগীতায় ভালুকা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
আসামি আব্দুস সাত্তার শাহীন আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের ভেটেশ্বর (কুমড়িরহাট) গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
আদিতমারী থানা পুলিশের প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা যায়,আব্দুস সাত্তার শাহীন গাজীপুরে অনুমোদন বিহীন গ্রামো ফার্মাসিটিক্যালস, গ্রামো ফিড লিমিটেড, প্রিমিয়াম ফিড লিমিটেড নামে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে দেশের বিভিন্ন জায়গার লোকজনের মামলামাল/অর্থ গ্রহন করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে আসছিলো। ২০২১ সালের ৯ মার্চ র্যাব, ওষুধ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই যৌথভাবে গাজীপুরে অনুমোদন বিহীন ওষুধ কোম্পানিতে অভিযান করে বিপুল পরিমান অবৈধ এনার্জি ড্রিঙ্ক,সিরাপ ও ক্যাপসুল ধ্বংস করে। এ সময় মহাব্যবস্থাপক কবির আহমেদ ও হিসাব রক্ষক শিব্বির আহমেদকে আটক করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে কারখানা সিলগালা করে দেয়।
আব্দুস সাত্তার শাহীনের সাজা ও প্রাপ্ত মামলার বিবরণ, দিনাজপুর জজ কোর্টের দায়রা নং-২২৫৮/১৮ মামলায় এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৮ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, নোয়াখালী সিআর নং-৩২৬/০৯ মামলায় এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডসহ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করে। অনাদায়ে আরো ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদন্ড, এবং সিআর-২৮/১৬ (আশুগঞ্জ), সংক্রান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
দেশের বিভিন্ন জেলায় আরও ১৯টি পরোয়ানাভুক্ত মামলার বিবরণ, নারায়নগঞ্জ, নীলফামারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিরাজগঞ্জ, শেরপুর, চট্রগ্রাম, ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা সহ বিভিন্ন জেলার বিজ্ঞ আদালতে পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৪০৮ ধারা তথা অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে টাকা আত্মসাৎ সহ দি নেগোসিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্ট-১৮৮১ এর ১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনারের ১৯টি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা সমূহ ইস্যু করা হয়েছে।
আদিতমারী থানার ওসি মুক্তারুল ইসলাম বলেন,কমলাবাড়ি ইউনিয়নের ভেটেশ্বর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আব্দুস সাত্তার শাহীন ৩টি মামলায় সাজাসহ মোট ২২টি মামলায় পরোয়ানা নিয়ে দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। আমার থানার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভালুকা মডেল থানায় তার অবস্থান সনাক্ত করে এবং ৮ ফেব্রুয়ারী তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। দুপুরের পর আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।