কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কবির মামুদ গ্রামে সরকারি রাস্তার নিচ দিয়ে ফসলি জমির পানি নিস্কাশনের জন্য নির্মিত কালভার্ট ও নালার ভরাট করা মুখ অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে খুলে দেয়ার কাজ চলমান রয়েছে। ওই এলাকার ফসলি জমির পানি নিস্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিল এলাকাবাসী। অভিযোগ প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শন করে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করে উপজেলা কৃষি অফিস।
তারই সূত্র ধরে গত ২ জুলাই সোমবার সরেজমিনে যান সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকলিমা বেগম। এসময় তিনি ফসলি জমির পানির অবাধ প্রবাহের জন্য নালা কেটে দিতে ও বন্ধ কালভাটের মুখ খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কালভাট দিয়ে পানি প্রবাহের জন্য স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক আজিজুল হাকিম মন্ডলের বসতবাড়ী সংলগ্ন সুপারি বাগানের ভিতর দিয়ে নালা খনন করছেন। এসময় আজিজুল হাকিম মন্ডল বলেন, এই এলাকার ফসলি জমির পানি নেমে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের মধ্যস্থাতায় নালা কাটার কাজ চলমান রয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার জন্য যেভাবে নালা কাটা হচ্ছে তাতে আমার বসতবাড়ী, বাগান ধ্বসে যাবার ঝুঁকিতে রয়েছে। তাছাড়া আমার বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা আছে নালাটি এরকম উন্মুক্ত থাকলে বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই, আমার বসতবাড়ী, বাগান এবং পরিবারের ছোট ছোট শিশুদের কথা বিবেচনা করে এখানে যেন পাকা ইউ ড্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।
স্থানীয় ফসলি জমির মালিক আব্দুল্লাহ মিয়া, আমিন উদ্দিন, ফারুক মিয়া বলেন, এই কালভার্ট ও নালা বন্ধ হওয়ায় আমরা জমিতে ধান চাষ করতে পারছি না। অবশেষে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় পানি নামার নালা করা হচ্ছে। এই নালাটিকে যদি ইউ ড্রেন করা হত তাহলে আমাদের জমির পানিও নেমে যেত আর আজিজুল হাকিম মন্ডলের বসতবাড়ী ও সুপারি বাগানেরও কোন ক্ষতি হত না। তাই আমরা এখানে একটা ইউ ড্রেন নির্মানের অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলার সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশীদ হারুন বলেন, আপাতত ফসলি জমির জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা কাঁটার কাজ চলমান রয়েছে। আজিজুল হাকিম মন্ডলেরও যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেজন্যও দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।