জামালপুরের মেলান্দহে এক রাতে ১৬ বাড়ির ১৭টি খড়ের গাদায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিয়াম (১৯) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ। স্থানীয়রা বলছেন, সিয়াম একজন ‘মাদকাসক্ত’। ‘গাঁজা সেবন করে’ এক রাতেই তিনি এই কাণ্ড ঘটান।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাত ৩টা পর্যন্ত পশ্চিম ঝাউগড়া ও নয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত সিয়াম ঝাউগড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাউগড়া এলাকার তারা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ঝাউগড়া এলাকার ফয়জুর ইসলামের বাড়িতে দুটি খড়ের গাদায় প্রথমে আগুন লাগানো হয়। এর ১৫ মিনিট পর একই এলাকার তাজমহল, হরমুজ ও সুমনের খড়ের গাদায়ও আগুন জ্বলতে দেখা যায়। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টাকালে ওই ইউনিয়নের মানকি নয়াপাড়া এলাকায় হুমায়ুনের বাড়ির খড়ের গাদায় একই কায়দায় আগুন দেওয়া হয়। এর ২০ মিনিটের মধ্যে নয়াপাড়া এলাকার শহীদুল্লাহ, শফিকুল, চাঁন মিয়া, রাশেদ মিয়া, মো. হায়দার, মিন্টু, আলমসহ ১২ জনের বাড়ির খড়ের গাদায় পর্যায়ক্রমে আগুন লাগে। আগুন লাগানোর সময় সিয়ামকে ধরে ফেলে নয়াপাড়ার লোকজন। তবে দুজনকে মারধর করে পালিয়ে যান তিনি।
ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহ্, শফিকুল ইসলাম, চাঁন মিয়াসহ আরও অনেকে জানান, আগুনের খবর শুনে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। প্রথম ফয়জুর ইসলামের বাড়িতে আগুন লাগে। এ সময় আগুন নেভাতে শতাধিক মানুষ জড়ো হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগুন লাগার খবর আসতে থাকে। এসময় সিয়ামকে আটক করে নয়াপড়া এলাকার লোকজন। সবাই আগুন নেভাতে ব্যস্ত থাকায় দুজনকে মারধর করে পালিয়ে যান তিনি।
পশ্চিম ঝাউগড়া এলাকার ফয়জুর রহমান জানান, রাতে হঠাৎ লোকজনের চিৎকার শুনতে পান তিনি। উঠে দেখেন তার খড়ের গাদায় আগুন লেগেছে। পরে লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভাতে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে আরও কয়েক জায়গায় আগুন লেগেছে।
সিয়ামের বাবা বলেন, আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। কখন কি করছে বুঝতে পারছি না।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পরিবার বলছে ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।