টাঙ্গাইলে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের মামলায় আলমগীর হোসেনকে (৩৬) দুটি ধারায় আলাদাভাবে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয়মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় দেন। দণ্ডিত আলমগীর হোসেন গোপালপুর উপজেলার ভুটিয়া গ্রামের আবু হানিফের ছেলে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আলী আহমেদ এবং এপিপি মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস জানান, ভিকটিম স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। বিগত ২০০৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সকালে সে স্কুলে যায়। সেখান থেকে তাকে অপহরণ করে দণ্ডিত আসামি আলমগীর হোসেন তার মামার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে গোপালপুর থানায় মামলা করেন। ২০০৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর গোপালপুর থানার এস আই তাজাম্মেল হক একমাত্র আসামি আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৭ ধারা এবং ৯ (১) ধারায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এই দুটি ধারায় আলাদাভাবে আসামিকে সাজা প্রদান করেন আদালত। তবে উভয় অপরাধের সাজা একত্রে চলবে বলে বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেন। আসামি হাজতবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়ে গা ঢাকা দেন। আদালতে আসামির উনুপস্থিতিতেই রায় পড়ে শোনান বিচারক।