জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অভিমান করে হাছনা আক্তার (১৩) নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার পোগলদিগা ইউনিয়নের বগারপাড় (পূর্বপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, বগারপাড় গ্রামের হাসেন আলীর মেয়ে হাসনা আক্তার। সে বগারপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার বাবা-মা কাজের সুবাদে ঢাকায় বসবাস করেন। হাছনা তার দাদী হাজরা বেওয়ার সাথে এলাকায় বসবাস করতেন। গত মঙ্গলবার রাতে তার মা রহিমা বেগম তাকে পড়ালেখা নিয়ে মোবাইল ফোনে বকাবকি করেন। এতে অভিমান করে হাসনা আক্তার রাতের খাবার না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। পরেরদিন বুধবার সকালে হাসনা বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য পোশাক পড়ে বাড়ি থেকে বের হয়। একই সময় তার দাদী হাজরা বেওয়া পাশের বাড়িতে যান। এ সুযোগে বিদ্যালয়ে না গিয়ে বাড়ি ফিরে আসে হাসনা। বাড়িতে কেউ না থাকায় ঘরের ধর্নার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সেই শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণ পরে হাজরা বেওয়া বাড়ি ফিরে এসে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে খবর দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন সুমনসহ সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের দাদী হাজরা বেওয়া বলেন, ‘হাছনা সকালে স্কুলের উদ্দেশ্য বের হলে, তিনি পাশের বাড়িতে চাউলের গুড়া তৈরি করার জন্য যান। কাজ শেষে বাড়ি এসে দেখতে পায় হাছনা গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলে আছে।
এ বিষয়ে পোগলদিঘা ইউপি সদস্য লাল মিয়া সরকার বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। তবে কি কারণে হাসনা আত্মহত্যা করেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মহব্বত কবির বলেন- সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.