ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দূর্ঘটনা ও পরিবহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় ১৭ কিলোমিটার এলাকায় জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মহাসড়কে পরিবহন চলাচলে ধীরগতি রযেছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে কাঁচামাল পরিবহনের চালকরা ও যাত্রীরা।
আজ (শুক্রবার) দিবাগত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়ক হতে কালিহাতী উপজেলার পৌলী পর্যন্ত এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মহাসড়ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
জানা গেছে, রাত প্রায় ১টার দিকে মহাসড়কের ভুঞাপুর লিংকরোড সংলগ্ন এলাকায় একটি পরিবহনের পিছনে আরেকটি পরিবহনের ধাক্কা লাগার ফলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবহন উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। এতে মহাসড়কের ঢাকাগামী ও উত্তরবঙ্গগামী লেনে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকা এবং ভোররাতে অন্যান্য দিনের মত পরিবহনের চাপ থাকায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে পুলিশ বলছে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব ওজন স্টেশনের ত্রুটিজনিত কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
দুপুরে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায় যানজট না থাকলেও যানবাহনের চাপ রয়েছে। ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। পুলিশ মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে একাধিক চালক জানান, রাত থেকে সকাল পর্যন্ত যানজটে তারা চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। সময়মতো লক্ষ্য স্থলে পৌঁছাতে না পেরে যাত্রীরা পড়েন চরম বেকায়দায়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকায় সমস্যার কারনে যানজট হয়েছে। তবে মহাসড়কের আমাদের দায়িত্বরত এলাকায় যানজট নেই।
বঙ্গবন্ধু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সফিকুল ইসলাম জানান,রাতে সেতুতে সমস্যার কারনে সকাল পর্যন্ত যানজট ছিল। তবে এখন মহাসড়ক স্বাভাবিক।
উল্লেখ, উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রতিদিন ১৪-১৫ হাজার ছোটবড় যান পারাপার হয়ে থাকে। তবে সাপ্তাহিক ছুটি দিন শুক্রবার ও শনিবারে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। ফলে যানজট ও ধীরগতি থাকে মহাসড়কে।