মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুইবোনকে প্রকাশ্যে লাঠিপেটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবী ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ মারপিটের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তবে পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করছে বলে এমন অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের খোয়াজপুর গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার সাথে প্রতিবেশী অ্যাডভোকেট ফরহাদ মোল্লার (৪০) দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
শুক্রবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে আবুল কাশেম চাষাবাদের জন্য গেলে এসময়ে তার সাথে তর্কাতর্কি হয় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে প্রতিপক্ষের সাথে।
পরে আবুল কাশেম মোল্লার দুই মেয়ে রেশমা আক্তার (২৭) ও তার বড়বোন আসমা আক্তার (৩৮) বিষয়টি জানতে গেলে তাদের উপর চড়াও হন ফরহাদ ও তার ছোটভাই হুমায়ুন মোল্লা (২৫)।
একপর্যায়ে দুইবোনকে লাঠিসোঁটা দিয়ে বেদম মারধর করেছে অভিযুক্ত দুইভাই। পরে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
এরইমধ্যে প্রকাশ্যে জমিতে দুই নারীকে মারপিটের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার গত দুইদিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় গিয়েও মামলা রেকর্ড করাতে পারেনি।
পরে রবিবার সকালে হামলার ঘটনায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করতে গেলে সেখানে অ্যাডভোকেট ফরহাদ মোল্লার তোপের মুখে আদালতেও মামলা দায়ের করতে পারেননি।
পরে ন্যায় বিচারের স্বার্থে রবিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিতা নারী রেশমা আক্তার বলেন, আমি থানায় মামলা করতে গিয়েছি পুলিশ মামলা নেয়নি।
পরে আদালতে মামলা করতে গেলে আদালত থেকে অ্যাডভোকেট ফরহাদ মোল্লা আমাদের বের করে দিয়েছে।
অন্য উকিলরাও মামলা করতে রাজি হয়নি। উকিলদের দাবি কোনো উকিলের বিরুদ্ধে মামলা হবে না। আমি একজন নারী, আমাকে মারধর করেছে। আমি কি এর বিচার পাবো না?
এদিকে মুঠোফোনে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ফরহাদ মোল্লা ও তার ভাই হুমায়ুন মোল্লা।
তাদের দাবি, হাতাহাতি হলেও কোনো মারপিট করা হয়নি কাউকেই। উলটো আমাদের মারধর করে পোশাক ছিঁড়ে ফেলছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. আল মামুন মামলা নিতে গড়িমসি করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে