মাদারীপুরে পূর্ব শত্রুতার কারণে এক যুবকের ডানহাত বিচ্ছিন্ন করে প্রতিপক্ষের লোকজন। বিপ্লব মৃধা (৩৮) নামে যুবকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে তাকে প্রেরন করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলার চরমুগরিয়া মহাবিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত বিপ্লব সদর উপজেলার চরখাগদি এলাকার বজলু মৃধার ছেলে। সে বসুন্ধরা কোম্পানীর স্থানীয় ডিলার বলে জানা যায়। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা দেশীয় অস্ত্রসহ মাদারীপুর জেলা পরিষদের সদস্য নাইম খানের বাড়ি থেকে সিয়াম খান (২১) নামে একজনকে আটক করতে পারে। পরে আটককৃতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আটক সিয়াম খান একই এলাকার আতিয়ার খানের ছেলে। এদিকে পুলিশ বিচ্ছিন্ন হাতের সন্ধানে বিভিন্ন বাসা-বাড়িসহ চরমুগরিয়া মহাবিদ্যালয়ের পাশের পুকুরে তল্লাসী চালিয়ে ছিলো।
স্থানীয়রা জানায়, চরখাগদি গ্রামের বিপ্লব মৃধার সাথে একই এলাকার খবির খানের ছেলে আকাশ খানের সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে ধরে বেশ কিছু দিন আগে আকাশ খানকে কুপিয়ে আহত করেছিল বিপ্লব মৃধার লোকজন। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিপ্লবকে চরমুগুরিয়া মহাবিদ্যালয়ের পাশে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে আকাশ খানের লোকজন কুপিয়ে বিপ্লবের ডানহাত বিচ্ছিন্ন করে বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। বিল্পবের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর আড়াইশো শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য বিল্পবকে পঙ্গু হাসপালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে গেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত একটি দাসহ একটা ধারালো চাকু উদ্ধার করেন।
আহত বিল্পবের স্ত্রী লাবন্য আক্তার বলেন, আকাশ ও তার লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি এর কঠিন বিচার চাই।
জেলার আড়াইশো শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিল্পব মৃধাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। তার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ বেশী হয়েছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, পূর্ব শত্রুতায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সাথে জড়িতরা সবাই পরপরই পালিয়ে গেছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এদিকে পুলিশ বিচ্ছিন্ন হাত উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
