পুনম শাহরীয়ার ঋতু,গাজীপুর প্রতিনিধি:
ঢাকার আশুলিয়া উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের বাড়ইপাড়া এলাকার হায়াত আলীর বাড়া বাসা থেকে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর)সকালে সাহারা বেগম নামের নারীর হাত পা বাধা অবস্থায় গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।এ ঘটনার নিহতের ফুফাতো ভাই উজ্জল হোসেন পলাতক রয়েছে। নিহত ঐ নারী টাঙ্গাইলের র্মিজাপুর উপজেলার বাহইখুলা গ্রামের মৃত বাদশা মিয়া উরফে কালু ড্রইভারের স্ত্রী। সে হায়াত আলীর বাসায় ফুফাতো ভাই উজ্জল হোসেনের সাথে একই ফ্লাটে ভাড়া থেকে খাবার হোটেল চালাতেন।
স্থানীয়রা ,নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায় গত ২০ বছর যাবত নিহত সাহারা বেগম এ এলাকায় ভাড়া থেকে খাবার হোটেলের ব্যবসা করতেন কালিয়াকৈর উপজেলার পশ্চিম চান্দরা হাজীবাড়ি এলাকায়। তার সাথে একই বাসার পাশের কক্ষে থাকতেন ফুফাতো ভাই উ্ধসঢ়;জ্জল হোসেন। এদিকে শনিবার সকালে খুব ভোরে উজ্জল বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলে সকাল ১০ টার দিকে সাহারা বেগমের এক আত্বীয় তাকে ডাকতে আসলে রুমের ভিতরে গিয়ে দেখে সাহারা বেগমের হাত পা বাধা অবস্থায় মৃত দেহ পড়ে আছে বিছানায় এসময় ঐ আত্বীয়র ডাক চিৎকারে আসে পাশের লোকজন চলে আসলে স্থানীরা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে হাতপা বাধা অবস্থায় ঐ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ।
কক্ষের বিভিন্ন আসভাবপত্র ভাঙ্গাচুরা ও এলো মেলো দেখে পুলিশ ধারনা করছে ডাকাতির উদ্যেশে তাকে হত্যা করতে পারে। এ হত্যাকান্ডে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা পলাতক উজ্জল কে গ্রেফতার করলেই যানা যাবে বলে পুলিশের দাবী নিহতের মেয়ে রুমা আক্তার বলেন আমার মা এখানে একাই থাকতো উজ্জল হলো আমার মায়ের ফুফাতো ভাই সে ওয়াল্টন কারখানায় চাকরী করতেন সে এ বাসায় আমার মায়ের পাশের রুমে থাকতেন ।কয়েকদিন আগে আমার মা ১৫ লক্ষ টাকার জমি কিনেছেনে ১০ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে বাকি ৫ লক্ষ টাকা আমার মা আজকে জমির মালিককে দিবে বলে বিভিনজায়গা থেকে জোগার করে বাসায় রেখেছিলেন সেই টাকা নিয়ে আমার মাকে হত্যা করে উজ্জল পালিয়ে গেছেন ।আমি তার ফাসি চাই। এ ঘটনায় আশুলীয়া থানার এস আই সোহেল মিয়া বলেন ঘটনাস্থল থেকে নিহতের হাতপা বাধা অবস্থায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে ।কক্ষের আসবাবপত্র এলোমেলো দেখে ধারনা করা হচ্ছে ডাকাতির উদ্দেশে তাকে হত্যা করা হয়েছে । পলাতক উজ্জলকে গ্রেফতার করলে আসল কারন জানযাবে ।