ঈদ যাত্রায় গতকাল বৃহস্পতিবার থেকেই শিল্প কারখানা গুলো ছুটি দেয়ার পর থেকে চন্দ্রা ত্রিমোর এলাকায় ঈদে ঘর মুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েই চলেছে। ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। দেখা গেছে বাস সংকট। এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ বাস সংকট থাকায় দিগুন ভাড়া নেয়ার হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। অপরদিকে চন্দ্রা থেকে ১ কিলোমিটার জুড়ে বাসের অপেক্ষোয় দুরপাল্লার যাত্রীরের দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। গতকাল রাত থেকেই চন্দ্রা টু নবীনগর, ও চন্দ্রা টু গাজীপুর চৌরাস্তাগামী মহাসড়কে আসে পাশের এলাকায় রয়েছে ধীর গতির যানজট।
এদিকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছাতে দিগুন ভাড়া নেয়ায় অসন্তোস প্রকাশ করেছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা এদিকে দিগুন ভাড়া দিয়েও পাচ্ছেন না ভালো মানের বাস। দুলালী আক্তার নামের ডেনিম এশিয়ার এক নারী পোষাক শ্রমিক জানান, সকাল নয়টা থেকে চন্দ্রা এলাকায় দাড়িয়ে আছি স্বজনদের সাথে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি বগুড়া যাবো ৫০০ টাকার টিকেট ১১০০ টাকায় কিনেছি তবুও ভালো মানের গাড়ি নেই পুরাতন লোকাল বাসের টিকেট তাও আবার দিগুন। আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী হালিমা বেগম বলেন, গাইবান্ধার ভাড়া ৪৫০ টাকা অথচ ঈদের কারনে ১০০০ টাকা করে। সকাল থেকে অপেক্ষা করেও টিকেট কাটতে পারিনি ভাড়া অনেক বেশি আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ এতো টাকা দিয়ে বাড়িতে গেলে আবার ফিরে আসতে ভাড়া থাকবেনা।
দিনাজপুর গামী রাহবার পরিবহনের চালক সুলতান মিয়া বলেন, ঈদ উপলক্ষে ৬০০ টাকার ভাড়া ১১০০ টাকা নেয়া হচ্ছে।কারন যাত্রী রেখে আসার সময় খালী আসতে হবে। তাছাড়া ঈদে তো আমাদের কোন ঈদ বোনাস নেই। বছরে এই দুই ঈদে ভাড়া একটু বেশি নেই। কায়সার আহম্মেদ নামের আরেক বাস চালক জানান, ঈদে উপলক্ষে আমরা একটু ভাড়া বেশি নিচ্ছি।
এদিকে চন্দ্রা এলাকায় যাত্রীদেও প্রচন্ড চাপ থাকায় দুরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস রয়েছে সংকটে ও দিগুন ভাড়ার কারনে যার ফলে অনেকেই জীবনের ঝুকি নিয়ে ট্রাক ও পিকাপ ভ্যানে করে স্বজনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন অনেকেই। তাছাড়াও এসব যানবাহন গুলোতে ভাড়া একটু কম থাকায় ঝুকি জেনেও যাত্রীরা এসব যানবাহনে উঠছেন।
অপরদিকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌছাতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মহাসড়কে কোন প্রকার অপ্রিতিকর দূর্ঘটনা এরাতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ থানা পুলিশ ও সাদা পোষাকে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছেন।
নাওজোর হাইওয়ে থানার ওসি শাহদাত হোসেন জানান, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি ফিরতে মহাসড়কে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা চন্দ্রা এলাকা সহ আসে পাশের এলাকা গুলোতেও মহাসড়কে নিয়মিত টহলে রয়েছে পুলিশ।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.