পুনম শাহরীয়ার ঋতু,গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন জরুন এলাকায় শিল্প কারখানার বিক্ষোভরত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে বুধবার(৮ নভেম্বর) সকালে আজ্ঞুয়ারা খাতুন নামের নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গুরতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মধ্যে তিন মারা যান।
নিহত নারী শ্রমিক হলেন সিরাজ গজ্ঞের কাজীপুর উপজেলার চর নাটিপাড়া গ্রামের মো. জামাল হোসেনের স্ত্রী সে মহানগরীর কোনাবাড়ির জরুন এলাকায় সপরিবারে ভাড়া থেকে স্থানীয় ইসলাম গ্রুপ নামক তৈরি পোষাক কারখানায় চাকুরী করতেন ।
গত মঙ্গলবার ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে মালিকপক্ষ। কিন্তু এ বেতন অবকাঠামো মেনে নেননি পোশাক শ্রমিকরা। প্রতিবাদে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কোনাবাড়ী কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিল্প কারখানার শ্রমিকরা। এদিকে খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও বিজিবি সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিতে টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে । ‘পুলিশ পরে বাধ্য হয়ে শ্রমিকদের লক্ষ করে রাবার বুলেট ছোড়ে। এসময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে’ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হন। এ সময় ঐ নারী শ্রমিক রাবার বুলেটের আঘাতে গুরুতর আহত হলে তাকে সহকর্মীরা উদ্ধার করে স্থানীয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আশরাফ উদ্দিন জানান, ‘শ্রমিকরা আঞ্চলিক সড়কগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখেন। ভাঙচুরও চালান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন। আর নারী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি।