পুনম শাহরীয়ার ঋতু, জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে ভাংচুরের অভিযোগে সোমবার পুলিশ নারীসহ চার শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছেন। এ ঘটনায় শিল্প-১ পুলিশের এএসআই রিপন চৌধুরি বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম।
উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত নামা ১ হাজার থেকে দেড় হাজার শ্রমিকের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলার আন্ধারমানিক ও নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার আন্দোলনকারী শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, রবিউল ইসলাম (২০), মেহেদী হাসান (২৯), আব্দুর রহিম (২২), নারী শ্রমিক আংগুরি বেগম (২৫)।
পুলিশ জানান, গত শনিবার বিকেলে নিশ্চিন্তপুর এলাকার শাহাবুদ্দিন (এমএসএ) স্পিনিং মিলস নামের একটি কারখানার সহস্রাধিক শ্রমিক তাদের বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবীতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে উত্তেজিত শ্রমিকরা হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়ীসহ অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরাতে ব্যর্থ হয়ে ১০-১২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েন। এসময় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়।
তবে শ্রমিকদের অভিযোগ, গত ৩১ মে তাদের একজন শ্রমিককে কারখানা কর্তৃপক্ষ গুম করেছে এরকম গুজব কর্মরত শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন সকালে শ্রমিকরা কারখানায় এসে গুম হওয়া শ্রমিককে ফেরত চায় সহকর্মীরা। গুম হওয়া শ্রমিককে না পেয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করে কারখানায় হামলা ভাংচুর করে।
এঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন। বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবীতে একাধিকবার শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ করলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ খুলে না দেওয়ায় শনিবার বিকেলে সহস্রাধিক নারী-পুরুষ শ্রমিক ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন,শ্রমিকরা আমাদের পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আহত করা এবং যানবাহন ভাংচুরের একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে