গাজীপুর

কালিয়াকৈরে শিশু অপহরনের সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে এলাকাবাসী

পুনম শাহরীয়ার ঋতু, জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর উত্তর পাড়া এলাকায় মুসা মিয়া (৬) নামের মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীকে অপহরনকারী সন্দেহে এক ব্যক্তি আটক করেছে এলাকাবাসী। অপহরণকৃত ঐ শিশু শিক্ষার্থী উপজেলার কালামপুর উত্তরপাড়া বসুরটেক এলাকার শামিম হোসেনের ছেলে পেষায় সে সিএনজি চালক।শিশুটি স্থানীয় মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র।

আটককৃত ব্যক্তি হলেন, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার কোনাছিপাড়া (চুলিয়ারচর) গ্রামের মৃত তমছের আলীর ছেলে মহির উদ্দিন মহির (৪০) সে একই এলাকার জালাল উদ্দিনের বাসায় ভাড়া থেকে বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করে।

সোমবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে দশটার দিকে এ ঘটনাঘটে।

এলাকাবাসী ও অপহরণকৃত শিশুর পরিবার সূত্র জানায়, মহির উদ্দিন অনেকদিন ধরেই খালাতো ভাই জালালের বাসায় ভাড়া থাকে কোন চাকুরী করেনা তবে বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করে। ঐ শিশু শিক্ষার্থীর বাড়ি পাশেই হওয়ার সুবাধে দুই পরিবারের মাঝে যাতায়াত ছিলো। মুসার বাবা শামিম হোসেন সিএনজি চালক মা রাবেয়া খাতুন স্থানীয় পোষাক কারখানার শ্রমিক। সোমবার সকালে ঐ শিশুর বাবা মা কাজে চলে গেলে বাসায় একাই থাকে ঐ শিশু। পরে সকাল সাড়ে দশটার দিকে মহির ঐ শিশুটিকে ডিম দিয়ে ভাত খাইয়ে আবার পাশের দোকান থেকে চকলেট কিনে দিতে দেখে মহিরের ভাতিজি জান্নাতি আক্তার রিতা। এর পর ১১ টার পর শিশু ও মহির কে আর এলাকায় দেখা না গেলে এদিকে শিশুটির চাচা আল আমিন ভাতিজাকে কোথাও খুজে না পেয়ে শিশুটির বাবা মাকে ফোন করে বাসায় আসতে বলে।

এদিকে সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত শিশুটিকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে। এদিকে শিশুটি বাবার মোবাইল ফোনে অচেনা এক নাম্বার থেকে কল করে জানায় যে, ঐ শিশুটিকে তিন মহিলা তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে। এদিকে মহিরকে শিশুটির পরিবারের সন্দেহ হলে তাকে উপজেলার পল্লী বিদুৎ এলাকা থেকে আটক করে।ৎ

জান্নাতি আক্তার রিতা বলেন সকালে আমি দেখেছি মুসাকে ডিম দিয়ে ভাত খাইয়ে দিচ্ছে মহির কাকা পরে দশটার পরে মুসাকে আর মহির কাকাকে দেখতে পাইনি।

এসার চাচা আল আমিন বলেন, সকাল থেকে আমার ভাতিজাকে খুজে পাচ্ছিনা, সাথে মহিরকেও। মহির কোন কাজ করেনা। মাসের ১৫ দিন এখানে থাকে, ১৫ দিন বিভিন্ন এলাকায় থাকে। সকালে দুই জনকে এক সাথেই দেখেছে বাড়ির সবাই কিন্তু দশটার পর থেকেই মুসা আর মহিরকে খুজে পাচ্ছিনা। আমার ভাতিজাকে মহিরই অপহরণ করেছে। তাছাড়া বিকালে যে অচেনা নাম্বার থেকে ফোন এসে ছিলো সে নাম্বার এখন বন্ধ। আমরা কালিয়াকৈর পুলিশে বিষয়টি জানিয়েছি। আমার ভাই শামিম থানায় গিয়েছেন পুলিশ আনতে। পুলিশ এলে তাদের হাতে মহিরকে তুলে দেয়া হবে। আমরা অনেকবার বলেছি, মহির শিকার করছেনা। আমার ভাতিজাকে জীবিত ফেরত চাই।

এ ঘটনায় কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক ফেন্সি বিশ্বাস জুয়েল বলেন, আমরা বিকালে খবর পেয়েছি যে, শিশু অপহরণ হয়েছে এবং অপহরণকারী সন্দেহে একজনকে আটক করেছে। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসেছি আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আসল ঘটনা যানা যাবে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker