পুনম শাহরীয়ার ঋতু, জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বোর্ডমিল এলাকায় গতকাল শনিবারে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল ও তার কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় রাতেই দোস মোহাম্মদ অপু নামের এক কর্মী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ অভিযোগে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষারকে প্রধান আসামী ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন হোসেন দ্বীপকে তিন নম্বর আসামী করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ্যসহ আরো অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনের নামের কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অপর দিকে এ হামলার ঘটনার সাথে জড়িত নন বলে ঘটনা অশ্বিকার করে রোববার বিকেলে উপজেলার সফিপুরের নিজ বাস ভবনে উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলেও দাবী করেন তিনি।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, শনিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেল পূর্ব নির্ধারিত চা চক্রের অনুষ্ঠানে গেলে রফিকুল ইসলাম তুষারের সমর্থিত উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমত হোসেন ও ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তুষারের বাবা মোঃ আদম আলীর নেতৃত্বে শতাধিক লোক দারালো অস্ত্র, লাঠিশোটা নিয়ে রেজাউল করিম রাসেলের উপর হামলা করে।
এ সময় রাসেলের দলীয় নেতাকর্মীরা বাধা দিলে হামলাকারীরা কর্মীদের উপর হামলা করে। এতে কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এঘটনার জের ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তুষার তার সফিপুরস্থ বাস ভবনের নীচে তার ব্যক্তিগত অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, যারাই এ হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিন্দনীয়। তবে আমাকে জড়িয়ে নেতা রাসেল সাহেব যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সঠিক নয়। ঘটনার দিন আমি উত্তরার বাসায় ছিলাম। ঘটনা শুনে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি অবগত হই।
তিনি আরো বলেন, নেতা রাসেল সেখানে চা চক্রের নামে বিএনপির নেতা সাইজুদ্দিনের দলীয় লোক নিয়ে সভা করতে চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় আওয়ামীলীগের কর্মীরা বাধা দিলে উভয়ের মধ্য অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। নেতা রাসেল এর কর্মীরাই দারোলো অস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে মহড়া দেওয়াতে এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়। যা সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হয়েছে। আমাদের মিথ্যা মামলা দেওয়ায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সংবাদ সম্মেলনে এসময় এ নেতার পাশে কোন দলীয় নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আকবর আলী খান বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাসেলের পক্ষে এক কর্মী বাদী হয়ে রাতেই একটি অভিযোগ দিয়েছে ।বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্ত সাফেখ্যে দুশীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।