পুনম শাহরীয়ার ঋতু, গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি
কোন প্রকার সহিংসতা ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে একটানা এ ভোট গ্রহণ। সকালে সিটি কর্পোরেশনের ৫৭ টি ওর্য়াডের প্রায় ভোট কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি। তবে এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রখর রোদের কারণে তা কমতে থাকে।
এ সময় মহিলা ভোটাররা অভিযোগ করেন সকাল ৮ টায় এসে দুপুর ১টা পর্যন্ত র্দীঘক্ষন লাইনে দাড়িয়ে থেকেও ভোট দিতে সময় লাগছে। অপরদিকে দায়িত্বে থাকা কতৃপক্ষরা বলছেন ইন্টারনেটের কারনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহনে সময় লাগছে। তবে শান্তি প্রিয় ভাবে ভোট গ্রহন চলছে। এছাড়া নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের সিটি কর্পোরেশনের ৩নং ওর্য়াডের হাতীমারা স্কুলের ভোট কেন্দ্রে পরির্দশনে এসে বলেন নাড়ি ভোটাররা সকাল থেকে লাইনে দাড়িয়ে আছেন ভোট দিতে সময় লাগছে। হয়তো নারী ভোটাররা ভোট না দিয়েই চলে যেতে পারেন। এতে করে ভোটের মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে তবে কতৃপক্ষ যদি নেটের স্প্রিট বাড়ান তবে ভোট দিতে সমস্যা হবেনা। অন্য এক কেন্দ্রে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক নৌকার সমর্থক। অনিয়মের জন্য আটক করা হয়েছে আরও দু’জনকে।
সরেজমিনে মাধবপুর, কাশিমপুর হাতিমাড়া, লৌহাকৈর, পানিশাইলসহ একাদিক এলাকার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সকালে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ সময় সব প্রার্থীই ভোটের পরিবেশ নিয়ে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানান। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা ও ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো এজেন্টকে থাকতে দেয়া হয়নি। এ সময় অনেক ভোটকেন্দ্র ফাঁকা দেখা যায়।
কিন্তু কেন্দ্রগুলোর বাইরের চিত্রে প্রার্থীদের সমর্থকদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বেলা ২টার দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্তত ২০টি কেন্দ্রে ২৫ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম যথাযথভাবে কাজ না করা ও ইন্টারনেটের গতি কম এর খবর পাওয়া গেছে। তাই ভোট গ্রহণেও একটু সময় বিলম্ব হয়।
এদিকে সকালে সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী নিজেদের ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও স্বতন্ত্র টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন দুইজনই নির্বাচনে বিজয়ী হবেন বলে গণমাধ্যমকে জানান। এসময় জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইভিএম টেম্পারিং ও কোনো ধরণের কারচুপি হলে গাজীপুরের বাসিন্দাসহ দেশবাসী ফলাফল মেনে নেবে না।
উল্লেখ্য, ইভিএমের মাধ্যমে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গ্রহণ শেষে শুরু হবে গণনা। নির্বাচনে সব প্রার্থীই নিজেদের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে অতি উৎসাহে নিজ নিজ বিজয়ের ফলাফল পেতে অপেক্ষা করছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। কে হবে নগর পিতা এখন শুধু অপেক্ষার পালা।