মহাসমারোহে সম্পন্ন হলো গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি-২০১৮ ব্যাচ কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ ব্যাচের সকল সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক মন্ডলীদের একাংশের উপস্থিতিতে একত্রে ইফতার করা ছিল এ মাহফিলের মূল আকর্ষণ।
এ আয়োজনের শুরুটা ছিল, ব্যাচের সকল বন্ধু-বান্ধবীদেরকে ইফতারের বিষয়টা জানানো। সকলে এখন যে যার যার জীবনে ব্যস্ত। কেউ হয়তো নিজ এলাকায়, আবার কেউ হয়তো প্রয়োজনের তাগিদে অন্য শহরে। কিন্তু তাদের নিজেদের মধ্যে আজও এতদিন পর ভালো যোগাযোগ রয়েছে একে অপরের মধ্যে। এর একটা বড় কারণ এই ব্যাচ প্রত্যেক বছর রমজান মাসে একবার একত্রিত হয় যেটা কিনা ২০১৭ সাল থেকে আজ ২০২৩ এর রমজান মাস পর্যন্ত। তবে এবারের আয়োজনটা ভিন্ন হওয়ার কারণ এই প্রথম স্কুল ক্যাম্পাসে ইফতার মাহফিল এসএসসি পাস করার পর।
সোমবারে সন্ধ্যায় আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, অত্র স্কুলের অধ্যক্ষ শ্রদ্ধেয় এসএম আমিনুল ইসলাম স্যার এবং আরও সাথে উপস্থিত ছিলেন, স্কুলের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকা বৃন্দ। অত্র স্কুলের অন্যান্য স্টাফরাও উপস্থিত ছিলেন। কারণ উদ্দেশ্য ছিল জীবনের সেরা সময় শিক্ষার্থীরা যাদের সান্যিধ্যে কাটিয়েছে তাদের সাথে যেন আরেকটি বিকেল সম্মুখ সাক্ষাতে স্মৃতিচারণ করা যায় তাদের এই প্রাণপ্রিয় স্কুল ক্যাম্পাসে। এর জন্যই এই তীব্র দাবদাহের মধ্যেও সকল বাঁধা অতিক্রম করে সকলের একত্রিত হওয়া।
প্রায় ৫ বছর পর যখন প্রিয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক দের সাথে শিক্ষার্থীদের সাক্ষাত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা যেমন আবেগ আপ্লুত হয়, শিক্ষকবৃন্দরাও তাদের সাবেক শিক্ষার্থীদের সাক্ষাতে আবেক প্রবণ হয়ে যান। চলে তাদের মধ্যকার এত দিনের জমে থাকা কথোপকথন।
এবারের বিশেষ আকর্ষণের আরেকটি অংশ ছিল ফটো ফ্রেম। যেখানে কিনা তাদের স্কুলের প্রতি ভালোবাসার বিষয়টি তারা তুলে ধরেছে। সাথে তাদের স্কুলের বিদায়ী স্মৃতি “একাডেমিয়ান- ১৮” এর গ্রুপ ফটো।
তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আবার সেই অতীতকে বর্তমানে রূপ দিতে, একই ভাবে সকল শিক্ষার্থী এবং উপস্থিত শিক্ষকদের নিয়ে আজকের গ্রুপ ফটো তোলা হয়।
এর পরবর্তীতে মাগরিবের আজানের সাথে সকলের ইফতার গ্রহণের মাধ্যমে আজকের ইফতার মাহফিলের সমাপ্তি হয়। যদিও “শেষ হয়েও হইল না শেষ” এর মতো শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে সন্ধ্যা পরবর্তী আরও কিছু সময় অতিবাহিত করে।
তাদের দেখে আজকে আমার একটা কথাই স্মরণ হয়। আমার স্কুল জীবনে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। তোমাদের ধন্যবাদ “একাডেমিয়ান- ১৮” আবারও আমাকে আমার স্কুল জীবনের স্মৃতিতে কিছুক্ষণের জন্য ফিরিয়ে নিয়া যাওয়ার জন্য।