গাজীপুর

জমে উঠেছে ঈদ বাজার, নিম্ন আয়ের মানুষের মুখে মলিনতা

ঈদকে সামনে রেখে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জমতে শুরু করেছে ঈদ বাজার। উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমলগুলো দিনে হালকা ভীর থাকলেও থাকলেও ইফতারের পর থেকে বাড়তে শুরু করেছে মানুষের ভীর। তবে ফুটপাতগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের ভীর বেশি।

সফিপুর বাজার হাজী রহিম সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের দিন যত দ্রুত এগিয়ে আসছে ততই ক্রেতাদের মধ্যে কেনাকাটার আগ্রহ বাড়ছে। তবে কিছুটা দিনে অতিরিক্ত তাপ মাত্রার কারণে সন্ধ্যার পর মার্কেট গুলোতে ভীর করছে ক্রেতারা। এছাড়া পোষাকের দরদামে নিয়ে ব্যস্থ সময় পার করেছেন বিভিন্ন মার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীরা।

Image

সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, ইফতারের পরপরই ছোট বড় মার্কেট ও ফুটপাতে থাকা দোকান গুলোতে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ছে। আবার কেউ কেউ নিজেদের পছন্দ মত কেনাকাটা করছেন।

মীর প্লাজা মার্কেটের দোকানি সুলতান মিয়া বলেন, যেহেতু ঈদের আর বেশি দিন নেই, তাই ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে কিন্তুু আবহাওয়া অতিরিক্ত গরম হওয়ায় সন্ধ্যার পর বেশি ক্রেতা হয়। এতে বেশির ভাগ ক্রেতা নারী ও শিশু। তবে পোষাকের দাম একটু বেশি। আগের তুলনায় বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে যার ফলে বেশি দামে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রায় সময় পোষাকের দামদর নিয়ে ক্রেতাদের সাথে তর্ক বিতর্কও হয়।

খোকন জোয়াদ্দার নামের আরেক দোকানি বলেন, গত বছর থেকে এ বছর আমাদের দোকানে সালোয়ার-কামিজের মান ও ডিজাইন আরও উন্নত করা হয়েছে। এ ছাড়া এখানে শার্ট, প্যান্ট, জামদানি শাড়ি, সিল্ক শাড়ি, সুতি শাড়ি এবং মসলিন শাড়ি আছে। এবার মসলিনের সালোয়ার কামিজ পাওয়া যাচ্ছে, যা গতবার ছিল না।”

Image

গার্মেন্টস কর্মী সালেহা বেগম তার তিন সন্তান নিয়ে সফিপুর বাজারে আসেন কেনাকাটা করতে। তিনি জানান, গত বারের চেয়ে এবার পোষাকের দাম বেশি। ছেলেমেয়েদের জন্য কাপড় কিনতে এসে হিমসিম খাচ্ছি। বড় মার্কেটগুলোতে দাম বেশী। তাছাড়া মাসের শেষে ঈদ কারখানা মালিক তো ঈদের আগে বেতন দিবে না। বোনাস যা পাইছি তা দিয়ে কেনাকাটা করবো, না বাড়িতে যাবো? এবার আর আমাগো বাড়ি যাওয়া হবেনা! ছেলের বাবা রিক্সা চালায় আর আমি গার্মেন্টসে কাজ করি। এ দিয়ে তিন ছেলে মেয়েকে মানুষ করছি।

স্থানীয় এপেক্স কারখানায় চাকরী করেন দুলাল মিয়া। বউ বাচ্চা নিয়ে ঈদের শপিং করতে এসে বাচ্চার জন্য পোষাকে কিনে নিজের জন্য আর কিনতে পারছেন না। যা বাজেট ছিলো মার্কেটে এসে দেখেন খরচ আরো বেশি।

এমন দুলালের মতো অনেকেই বড় বড় মার্কেটে শপিং করতে এসে সাধ্যের মধ্যে না থাকায় ফুটপাত থেকে কেনাকাটা করছেন অনেকেই।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker