গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চা-বাগান বাজারের তুরাগ নদীর পাশে তুরাগ রিসোর্টের নামে একটি পতিতালয় গড়ে তুলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো: শাহীন আলমগীর।
নদীর জমি দখল ও পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ও বড় ভাইদের জমি জোড়পূবক দখল করে নিয়ে এই রিসোর্ট গড়ে তুলে ভাড়া দিয়ে আসছিল।
এ ঘটনায় জমিজমা বুঝিয়ে দেওয়ার দাবী ও পতিতাবৃত্তি বন্ধের জন্য পারিবারিক গ্রাম্য শালিশে বসেন শাহীন আলমগীরসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। এ সময় বড় ভাই আবুল কাশেম তাদের পৈতৃক ভিটায় অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের কথা বললে শাহীন আলমগীরের নেতৃত্বে ৪-৫ জন লাঠিশোটা নিয়ে আবুল কাশেম, মাসুদ রানা ও তার স্ত্রী সামিরা সুলতানার উপর হামলা করে। এসময় শাহীন আলমগীরের বড় ভাই আবুল কাশেমকে (৬০) পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙ্গে ফেলে।
এঘটনায় আহত আবুল কাশেম এর ছেলে এমেল হক বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। শনিবার বিকেলে গ্রামবাসী ও আবুল কাশেমের পরিবারের সদস্যরা চা-বাগান বাজারে এই আওয়ামী লীগের নেতা শাহীন আলমগীরকে গ্রেপ্তার ও তার পরিচালিত পতিতালয় বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধ করেন। দেড়ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন, আহত হাজী আবুল কাশেম, আহত মাসুদ রানা, রেজাউল করিম, সামিরা সুলতানা, এহসানুল হক, নেহাস মৌলভী, রহম বেপারী, নাসরিন আক্তার, নার্গিস আক্তার, শফিকুর রহমান, মমতাজ বেগম, ফাহমিদা আক্তার, রিফা আক্তার প্রমুখ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন জানান, শাহীন আলমগীর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন। দলে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলে যা ইচ্ছা তা করার সুযোগ নেই।
অভিযুক্ত শাহীন আলমগীরের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কালিয়াকৈর থানার এসআই জামিনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।