গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জালশুকা এলাকায় শাহজান মিয়া নামের কবিরাজকে ফোনে ডেকে নিয়ে অপহরণের পর বেধরক মারপিটসহ হাতের আঙ্গুলের নখের নিচ দিয়ে সুই ঢুকিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয় কবিরাজের মটরসাইকলে মোবাইল ফোনসহ নগদ টাকা। ছিনতাইকারীদের বেধরক মপারপিটে ওই কবিরাজ গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জালশুকা এলাকায়।
ওই ঘটনায় মঙ্গলবার কবিরাজের স্ত্রী বাদী হয়ে এলাকার ফয়সাল মৃর্ধা, প্রান্ত, মোবারক হোসেন, মাসুম, ইমনসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫জনকে আসামী করে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত কবিরাজ শাজাহান টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার কোকডহরা এলাকার বাসিন্ধা। বর্তমানে তিনি কালিয়াকৈরের বড়ইছুটি এলাকার শেফালীর বাড়ীতে ভাড়া থেকে এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসা করে আসছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাজাহান মিয়াকে গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে পাশের ফয়সাল নামের এক যুবক চিকিৎসার করানোর কথা বলে ফোনে জালশুকা মসজিদের সামনে যেতে বলে। ফোন পেয়ে সেখানে যাওয়া মাত্রই পুর্বে থেকে অবস্থান করা ফয়সালের সঙ্গে থাকা আরো ৪/৫ জন যুবক জোরপুর্বক তাঁর মটরসাইকল, মোবাইল ফোন, নগদ ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় শাজাহানকে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে এলোপাথরী মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। একপর্যায়ে তার হাতের আঙ্গুলের নখের ভেতর সুই ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হয়। সেখানে তাকে প্রায় ৫ ঘন্টা আটকে রেখে নির্যাতনের পর বিকেল ৪টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে আহত অবস্থায় বাসায় ফিরে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় পরেরদিন মঙ্গলবার শাজাহানের স্ত্রী সমলা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কালিয়াকৈর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, ওই ঘটনায় এখনও কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।