স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেছেন, জঙ্গি যারা পালিয়েছে তারা দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করেছিল। যেখানে আমাদের দূর্বলতা ছিল, সেই দূর্বলতার ফাঁক-ফোকর দিয়ে এরা বেরিয়ে গেছে, এটা যথার্থই। এই দুর্বলতা কে তৈরি করে দিল কারা এজন্য দায়ী, কাদের গাফিলতি আছে সেজন্য দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ৬০তম ব্যাচ কারা রক্ষীদের শপথ গ্রহণ ও সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, জঙ্গি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গঠিত কমিটির সদস্যরা এখনও আমাদের কাছে প্রতিবেদন জামা দেয়নি। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বন্দি জঙ্গিরা যেন সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা চালাতে না পাওে, সে বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে নবীন কারা রক্ষীদের সশস্ত্র অভিবাদন গ্রহণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি খোলা জিপে চড়ে প্যারেড স্থল পরিদর্শন করেন এবং মার্চপাস্ট উপভোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে সচিব, মো: আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী হোসেন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক।
অনুষ্ঠানে নবীন কারারক্ষীদের মধ্যে বেস্ট ফায়ার হিসেবে প্রধান অতিথির কাছ থেকে পুরস্কার নেন মেহেরপুর জেলা কারাগারের নবীন কারারক্ষী মো: ইমানুর রহমান শিপন, ড্রিলে প্রথম স্থান অধিকার করেন নরসিংদী জেলা কারাগারের কারা রক্ষী মো: রনি দেওয়ান, পিটিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের কারারক্ষী মো: রবিউল ইসলাম। সব বিষয়ে চৌকস কারারক্ষী নির্বাচিত হন মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারের কারা রক্ষী মিন্টু ঘোষ। ছয় মাস মেয়াদি ৬০তম ব্যাচ কারারক্ষীদের এ প্রশিক্ষণ কোর্সে ৩০১ জন কারারক্ষী অংশগ্রহণ করেন।