গাজীপুর

সাংবাদিকদের বসিয়ে রেখে কর্মকর্তা পালালেন সমিতির চাঁদায় সমবায় দিবস পালিত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের উদ্যোগে শনিবার উপজেলা চত্বরে সমবায় দিবস পালনের নামে বিভিন্ন এলাকার সমিতি থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় তিনশত সমিতি থেকে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছে বলে উপজেলা সমবায় কর্মকতার্ সাবিরা খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সমিতির কয়েকজন সদস্যরা। অনুষ্ঠান শেষে আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া সদস্যদের মাঝে খাবার বিরতরণ নিয়ে হট্রগোলের অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা সমবায় অফিস ও বিভিন্ন সমিতি সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের অধীনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় তিনশ সমিতি রয়েছে। কিন্তু জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গত কয়েক দিন ধরে প্রত্যেক সমিতি থেকে ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেছে উপজেলা সমবায় অফিস। ওই চাঁদার টাকায় শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমবায় অফিসের উদ্যোগে জাতীয় সমবায় দিবসের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে উপজেলা চত্ত্বরে একটি র‍্যালি ও উপজেলা হল রুমে আলোচনা সভার মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়েছে। উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদা নাসরিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা সমবায় অফিসে খাবার বিতরণের সময় হট্রোগোলের সৃষ্টি হয়। হট্রো গোলের এক পর্যায়ে সমবায় কর্মকতার্দের সাথে কথাকাটাকাটির পর সমিতির সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায়।

উপজেলা অটোরিকশা মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত বিপ্লব হোসেন জানান, আমাদের সমিতি থেকে দুই হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের সমিতির নামও ঘোষণা করেনি। খাবার নিতে গেলেও সমবায় অফিসের লোকজন উল্টো আমাদের মিথ্যাবাদী বলে অফিস থেকে বেড়িয়ে যেতে বলে।

শ্রীফলতলী অটোরিকশা ভ্যান চালক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইনছাদ আলী জানান, এ অনুষ্ঠানের জন্য প্রতি বছর আমরা এক হাজার করে টাকা দেই। কিন্তু এ বছর অনুষ্ঠানের নামে ওই অফিসের চাপের মুখে দুই হাজার টাকা দিয়েছি। অফিসের লোকজন আবার আমাদের সাথে খারাপ আচারণ করছেন।

বিভিন্ন সমিতির সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি হলেও সবাই খাবার পাননি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা সমবায় অফিসে গেলেও কর্মকতার্ সাবিরা খান কৌশলে সাংবাদিকদের বসিয়ে রেখে তিনি পালিয়ে যান। বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ওই অফিসের সহকারী পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়টি স্যার বলতে পারবেন।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, সমিতিগুলো থেকে কত টাকা নিয়েছে? এটা আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতেছি।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker