কালিয়াকৈরে নির্বাচনে বাকী থাকা ২টি ইউনিয়নের মধ্যে শ্রিফলতলী ইউনিয়ন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে।
তবে ভোটারদের অভিযোগ কোন ভোট কেন্দ্রে তারা নিরাপদ ভাবে ভোট দিতে পারছেন না। এদিকে আইন প্রশাসনের দাবি সুষ্ঠ স্বাভাবিক ভাবেই চলছে ভোট গ্রহণ।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রিফলতলী ইউনিয়ন নির্বাচনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চলছে ভোট গ্রহণ। এদিকে সেওড়াতলী ভুবনেশ্বরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজ, ভৃঙ্গরাজ তালেলাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে ভোটগ্রহন। এদিকে প্রায় ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহনে ধীরগতি দেখা গেছে। এতে ভোটাররা পড়ছে ভোগান্তিতে। অনেক ভোটারদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ভোটারদের সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন চলছে। সকাল ৮টা থেকে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ১নং ওয়ার্ডের ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোনো ভোট গ্রহণ হচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ ভোটাররা। অপরদিকে কালিয়াকৈরে ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে ভোট কেন্দ্রের সামনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকের মধ্যে হয়েছে দাওয়া পালটা দাওয়া। পরে কালিয়াকৈর পুলিশ প্রশাসন ঠাঠি চার্য করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। অপর দিকে একটি ভোট কেন্দ্রে শতবর্ষী এক বৃদ্ধকে নিজ কোলে করে ভোট দিতে সহায়তা প্রদান করে প্রশংসার ভূমিকা রাখেন মোরশেদ নামের এক এস আই।
এদিকে ভোট দিতে আসা অর্ধ বয়সী নাজমা বেগম জানান, সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি এখন পর্যন্ত ভোট দিতে পারি নাই।অপরদিকে লুৎফন নেছা জানান, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোট দেয়ার সময় ভোট কেন্দ্রে থাকা লোকজন তাকে তড়িঘড়ি করে ভোট দিয়ে চলে যেতে বলেন। এর কারন জানতে চাইলে তার সাথে খারাপ আচরণ করা হয়।
গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার আতোয়ার রহমান জানান, ‘ভোটারদের যাচাই-বাছাই করার কারণে দেরি হচ্ছে। যাচাই না করে তো ভোট দেওয়া যাবে না।’
তবে এসব অভিযোগ অশিকার করে কালিয়াকৈর থানা ইনচার্জ আকবর আলী জানান, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি তবে সামান্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে আমরা তা নিয়ন্ত্রণে এনেছি।