গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরির বিষাক্ত বর্জ্য জনজীবন এবং ফসলের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এসব শিল্প-কারখানায় ইটিপি বা দূষিত পানি শোধনাগার বাধ্যতামূলক হলেও সেটি শুধু কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। ডায়িং মিলের দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত কালো পানি সরাসরি ফেলা হচ্ছে ফসলি জমিতে।
এতে ফসল উৎপাদনে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী এখানে প্রায় বিলুপ্ত। মেগা ইয়ার্ন ডায়িং ও মাদার টেক্সটাইলের বিষাক্ত বর্জ্যে এসব এলাকার জমির মাটি আলকাতরার মতো কালো হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ গত কয়েক বছর ধরে এসব মিল-ফ্যাক্টরির দুর্গন্ধযুক্ত কালো পানির কারণে কোনো প্রকার ফসল হচ্ছে না।
আফতাব উদ্দিন নামে এক জমির মালিক বলেন, এখানে আমার ৫ বিঘার মতো জমি আছে। বছরে ৮০ থেকে ১০০ মণ ধান পেতাম। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবৎ এক মণ ধানও ঘরে তুলতে পারিনি।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি এডভোকেট আখতার হোসেন বলেন, এলাকার মানুষের ১০০ থেকে ১৫০ বিঘা জমির উপর দিয়ে বর্জ্য পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিষাক্ত পানির জন্য কোনো ফসল উৎপাদন করতে পারি না।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মহানগর ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বলেন, মেগা সোয়েটার বর্জ্য পানি ড্রেনের মাধ্যমে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু মাদার টেক্সটাইলের পানি যাচ্ছে জনগণের জমিতে।
এলাকাবাসী জানান, মেগা সোয়েটার ও মাদার টেক্সটাইলের পানি আমাদের এই এলাকার পরিবেশ, ফসলি জমি ও বাড়িঘর নষ্ট করছে। কারখানার কালো বর্জ্য পানিতে বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে চাইলে মেগা ইয়ার্ন ডায়িং কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। অপরদিকে মাদার টেক্সটাইলের কর্মকর্তারা জানান, আমাদের কোনো ডায়িং প্রজেক্ট নেই, বর্জ্য পানিও নেই।
গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলেন, আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।