২৮ নভেম্বর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেয়র পদ প্রার্থীদের সমর্থকদের নানা সহিংসতায় আহতরা কেমন আছেন এখন নির্বাচনের পরবর্তি সময়ে।
কালিয়াকৈরে পৌরসভা নির্বাচন নানা জল্পনা কল্পনা শেষে গত ২৮ শে নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো কালিয়াকৈর পৌরসভা নির্বাচন।বিগত ১০ বছর ধরে পৌরসভার সিমানা নির্ধারণ নিয়ে আইনি জটিলতা কারনে নির্বাচন পিছিয়ে ছিলো।
অবশেষে ২৪ অক্টোবর পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর ধারাবাহিকতায় কালিয়াকৈর পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনে একাধিক মেয়র ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দল অংশ নেয়।
এতে দলের মনোনয়ন না পাওয়ায় একাধিক প্রার্থী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান ও মেয়র পদ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন যার ফলে তাদের ভিতর বিদ্রোহ সৃষ্টি হলে নান বিচ্ছিন্ন সংহিতা’র ঘটনা ঘটে। এদিকে পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীতার প্রচারণা নিয়ে অনেকেই আহত হয়। নির্বাচনের পরবর্তিতে কেমন আছেন সেই আহত সমর্থকরা।
নির্বাচন সংহিতা’য় আহত পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী মোবাইল প্রতিকের সমর্থক পৌর যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন জানান, নির্বাচনের কয়েকদিন আগে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কালামপুর পাকার মাথা এলাকায় প্রচারণা মাইক চলাকালে ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষরা তার উপর হামলা চালায় এতে মারাত্মকভাবে আহত হয় শাহাদাত হোসেন এতে তার শরিরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখমসহ ডান পা ও হাত ভাঙ্গে পরে তাকে উদ্ধার করে করে স্থানীয়রা তানহা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
নির্বাচন শেষ হলেও পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করছে আহত শাহদাত হোসেন। ঘটনার এতোদিন পেড়িয়ে গেলেও পাইনি কোন আইনি সহায়তা। এ সময় তিনি এই মর্মান্তিক ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নির্বাচনে তার একটি পা ভেঙ্গে পঙ্গু হলেও তার দল নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বলে এই ঘটনার কথা মনে করতে চাননা।