জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ রবিবার তৃতীয় দিনের মতো ধর্মঘট পালন করছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
গত ৫ নভেম্বর গভীর রাত থেকেই জ্বালানি তেল ডিজেলর দাম ৬৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। সকালে পাম্পে ডিজেল নিতে আসা পরিবহন চালকরা হটাৎ ৮০ টাকা করে প্রতি লিটার দাম হওয়ায় বিপাকে পড়ে। এ ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকাল থেকেই অনির্দিষ্ট কালের জন্য পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে।
এদিকে পরিবহন বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে অফিস-আদালত ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা। ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, সফিপুর, মৌচাক, কোনাবাড়ি ও চান্দরা এলাকাসহ মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ থাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যটারী চালিত ইজিবাইক, থ্রি হুইলার ও অটোরিকশা। দিগুণ ভাড়ায় আদায়ের অভিযোগ উঠেছে এইসব ব্যটারী চালিত যানবাহনের বিরুদ্ধে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় দেখা গেছে অটোরিকশা, থ্রি হুইলারে ছেয়ে গেছে সমস্ত মহাসড়ক।
মঘবুল হোসেন নামের এক যাত্রী জানান, চৌরাস্তা থেকে আসতে যেখানে ভারা ৩৫ টাকা সেখানে ৩০০ টাকা দিয়ে অটোরিকশায় করে আসতে হয়েছে। অপরদিকে এমন দিগুণ ভাড়ায় ভোগান্তির শিকার যাত্রীদের চোখে মুখে দেখা গেছে বিষন্নতার ছাপ।
তবে চন্দ্রা এলাকায় এইসব ব্যটারী চালিত অযান্ত্রিক যান চলাচল বন্ধে আইন প্রশাসনের ছিলনা নজরদারী। যার ফলে মহাসড়ক অবরোধ করেই এক রকম দিগুণ ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে অযান্ত্রিক যানবাহনের। সাধারণ যাত্রীরা পরেছে মহা বিপাকে। দিগুণ ভাড়ায় চলাচল করতে স্কুল কলেজ ও অফিসগামী মানুষের ভোগান্তি চরমে। সাধারণ মানুষের দাবী এভাবে পরিবহন বন্ধ থাকলে ভোগান্তি আরো চরম আকার ধারণ করবে।