কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় মাংস কাটার কাঠের খাইট্টা ব্যবসা জমে উঠেছে। মুসলমান সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা মানেই পশু কোরবানি। আর, এই কোরবানির পশু জবাইয়ের পর মাংস প্রক্রিয়াকরণের কয়েকটি খুবই প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাংস কেটে টুকরো করার কাজে ব্যবহৃত কাঠের পাটাতন ‘খাইট্টা’।
আর পশুর মাংস কাটার কাজে এই কাঠের খাইট্টা ব্যবহার করে থাকেন কসাইরা।তবে অনেকেই পশু জবাইয়ে মাংস প্রক্রিয়াকরণের এই কাঠের খাইট্টা কিনে থাকেন।
চরভদ্রাসন আশেপাশের কয়েকটি স’ মিলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই গুঁড়ি তৈরি হচ্ছে। স’ মিলের মালিকরা জানান, মাংস কাটার কাজে কাঠের এই গুঁড়ির কোন বিকল্প নেই। এটি তৈরিতে বিশেষ সর্তক থাকতে হয়। কাঠের ব্যবহারও নির্দিষ্ট হতে হয়।
খাইট্টা সব কাঠ দিয়ে তৈরি করা যায় না। এটি তৈরি করতে হয় এমন কাঠ দিয়ে, যাতে চাপাতির কোপে কাঠের গুঁড়া না ওঠে। কোরবানির মাংস কাটার জন্য এসব খাইট্টার অধিকাংশই তেঁতুল গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি। কাঠ ব্যবসয়ী আব্দুল হাকিম জানান, তেঁতুল গাছের কাঠ দিয়েই খাইট্টা বানাতে হয়। কারণ হিসেবে তিনি জানান, তেঁতুল কাঠে সহজে চাপাতির কোপ বসবে না। তাই, কাঠের গুঁড়াও উঠবে না। এতে মাংস নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
আর ২ দিন পরই ঈদ। মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ক্ষুদ্র ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা এসব খাইট্টার পসরা নিয়ে বসেছেন। চরভদ্রাসন সদর বাজারে এই ব্যবসা জমে উঠেছে। বিভিন্ন মাপের বিভিন্ন দামের এসব খাইট্টা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ২৫০ থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার মধ্যে তেতুঁল কাঠের খাইট্টা মিলছে।
খাইট্টা কিনতে আসা তকিয়ার মোস্তাফিজুর বলেন, কোরবানির মাংস কাটতে খাইট্টা খুব জরুরী। আর তেঁতুল কাঠের খাইট্টায় মাংস প্রস্তুত করা ভালো হয়। কাঠের গুড়া খুব কম ওঠে। খাইট্টার চাহিদা বেশি থাকায় বাজার ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন আকারের খাইট্টা বিক্রি করছেন। পছন্দ অনুযায়ী ক্রেতারা দর দাম করে তাদের প্রয়োজনীয় খাইট্টা কিনছেন।